নেতা মন্ত্রীদের মোবাইল-ওয়ালেট হাফিস! বিরোধীদের কটাক্ষ, তৃণমূলের ধর্না মঞ্চে এত চোর

সাংসদ বিধায়কদের মোবাইল, ওয়ালেট হাফিস হয়ে গেছে রাজঘাটের ধর্নামঞ্চ থেকে। চরম বিব্রত তৃণমূল। বিরোধীদের কটাক্ষ শুরু হয়ে গেল। ওদের সমাবেশে এত চোর কী করে ঢোকে?…

সাংসদ বিধায়কদের মোবাইল, ওয়ালেট হাফিস হয়ে গেছে রাজঘাটের ধর্নামঞ্চ থেকে। চরম বিব্রত তৃণমূল। বিরোধীদের কটাক্ষ শুরু হয়ে গেল। ওদের সমাবেশে এত চোর কী করে ঢোকে? কারা চোর? কে নিল মোবাইল ওয়ালেট। এমনতর প্রশ্নে জর্জরিত পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল।

রাজঘাটের ধর্নামঞ্চে কেউ হারালেন ফোন, কেউ হারালেন জুতো, কেউ হারালেন মানিব্যাগ। আজ সোমবার ২রা অক্টোবর নীরবে স্লোগান‌ না দিয়ে প্ল্যাকার্ডে দাবি তুলে ধরেছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। রাজঘাটে ধর্নামঞ্চে নীরবেই কালো প্যাকার্ডের উপর সাদা কালিতে দাবি তুলে ধরেন তৃণমূল সাংসদরা। আজ দুপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ও মন্ত্রীরা রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ জানানোর পর তৃণমূলের অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়। তারা অবস্থান বিক্ষোভ দেখায়। ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা কেন্দ্রের কাছ থেকে আদায়ের দাবিতেই দিল্লিতে বিক্ষোভ কর্মসূচির পরিকল্পনা তৃণমূল কংগ্রেসের। মঙ্গলবারও প্রতিবাদ কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের। যদিও সেই কর্মসূচি কী হবে , তা এখনও ঠিক হয়নি। আজ তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে এই নিয়ে আলোচনায় বসবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও আরও কয়েকজন নেতারা।

   

ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে পড়ে রাজঘাট চত্বর। তৃণমূল সাংসদদের রাজঘাট থেকে ওঠার জন্য ৫ মিনিট সময় বেঁধে দিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। ৫ মিনিটের আগেই দিল্লি পুলিশের বিশাল বাহিনী রাজঘাটে পৌঁছায়, নামে ব়্যাফও। তৃণমূল সাংসদরা না উঠলে তাদের জোর করে তোলা হবে। তৃণমূলকে রাজঘাট ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। রাজঘাটে প্রায় ঘণ্টা দেড়েক ধর্না চলার পর তৃণমূল সাংসদদের উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেয় দিল্লি পুলিশ। তৃণমূল সাংসদদের ৫ মিনিট সময় দেওয়া হয়। পাঁচ মিনিটের মধ্যে রাজঘাট খালি না করলে, জোর করে বের করে দেওয়া হবে বলে জানায় পুলিশ।

রাজঘাটে তৃণমূলের এই কর্মসূচির পাল্টা জবাবে দিল্লি থেকেই সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁ ও জ্যোতির্ময় সিং মাহাতরা। সুকান্ত মজুমদার বলেন, “গ্রাম পঞ্চায়েতে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে এনআরইজিএ, পিএমএওয়াই-তে দুর্নীতি হয়েছে। নীচু স্তর থেকে অভিযোগ এসেছে। যেমন মাটির কাজে স্ক্রুটিনি থেকে বাঁচতে বড় কাজকে ছোট ছোট স্তরে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তার জন্য় কোনও অনুমতিও নেওয়া হয়নি। অনেক টাকা আদায় করা হয়েছে এইভাবে। সেচ বিভাগের সঙ্গে কথাও বলা হয়নি। আমাদের কাছে ছবিও আছে।”