সন্দেশখালি কাণ্ডের অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন মেলেনি। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে শুনানির সময় বিচারপতিরা কার্যত ভর্ৎসনা করেন তাঁর আইনজীবীকে। এই ঘটনা সামাজিক ও রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে যথেষ্ট গুরুত্ববহন করছে।
সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে যে, মামলার প্রকৃতি এবং ঘটনার গম্ভীরতা বিবেচনা করে আদালত জামিন প্রদানে অনিচ্ছুক। সূত্রের খবর, বিচারকরা প্রশ্ন তোলেন যে, কতটুকু প্রমাণ রয়েছে, এবং অভিযুক্তের মুক্তি সমাজে কি ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। আদালতের বক্তব্য ছিল, “মামলার তলানিতে পৌঁছানো পর্যন্ত আইন প্রক্রিয়ার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা রাখতে হবে। সেই সময় পর্যন্ত সমাজ ও মামলার সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য।”
শেখ শাহজাহান গত কয়েক মাস ধরে জামিনের জন্য আবেদন করে আসছিলেন। তাঁর আইনজীবী বিভিন্ন পর্যায়ে আদালতে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন যে, তিনি সমাজের বিপদ সৃষ্টি করতে পারেন না এবং তাঁর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা প্রমাণিত নয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের বিচারকরা এই যুক্তিকে সন্তোষজনক মনে করেননি। শুনানির সময় আদালত মনে করিয়ে দেন যে, শুধুমাত্র আবেদনকারীর ব্যক্তিগত অবস্থান বা আঞ্চলিক প্রভাবের কারণে কোনো ধরনের আপেক্ষিক সুবিধা দেওয়া যায় না।
এটি একদিকে যেমন শেখ শাহজাহানের জন্য বড় ধাক্কা, তেমনি সন্দেশখালি কাণ্ডের প্রত্যেক অভিযুক্তের জন্য একটি সতর্কবার্তা। এই কাণ্ডটি দীর্ঘ সময় ধরে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তারা প্রভাবশালী লোকের সাথে মিলে স্থানীয় জনগণের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে এবং সমাজে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করেছে।


