Chandrayaan-3: চন্দ্রযান ৩-অভিযানকে শুভেচ্ছাবার্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর

চন্দ্রযান ৩-অভিযানকে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়ে টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে চন্দ্রযান ৩- অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য মিশন বলে টূইট করেন নরেন্দ্র মোদির। কাউন্টডাউন শুরু হয়ে…

চন্দ্রযান ৩-অভিযানকে শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়ে টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে চন্দ্রযান ৩- অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য মিশন বলে টূইট করেন নরেন্দ্র মোদির। কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। আর মাত্র কয়েক মিনিট বাকি! তারপরই চতুর্থ দেশ হিসেবে আজ শুরু হচ্ছে ভারতের চন্দ্র অভিযান। গতকাল তিরুপতি মন্দিরে পুজো দিলেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা।

গোটা দেশের নজর আজ Chandrayaan-3 এর দিকে। এবার বাহুবলীর ঘাড়ে চেপে চাঁদে রওনা দিচ্ছে ভারত। আজ শুক্রবার চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দেবে Chandrayaan-3। শুরু হয়ে গিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের কাউন্টদাউন। শুক্রবার দুপুর ২টো ৩৫ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধওয়ান স্পেস সেন্টারের লঞ্চিং প্যাড থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে চন্দ্রযান-৩।

ISRO-র চন্দ্রযানকে শক্তি যোগাতে থাকছে এলভিএম-৩ রকেট। এই ভারতীয় রকেটের নাম বাহুবলী। বাহুবলী চন্দ্রযানটিকে শক্তি দেবে এবং পৃথিবীর কক্ষপথের বাইরে ঠেলে দেবে। এলভিএম-৩ একটি ত্রিস্তরীয় উৎক্ষেপণ যান, যে এর আগে একাধিক কৃত্রিম উপগ্রহ এবং চন্দ্রযাত্রায় ব্যবহার করা হয়েছে। বাহুবলী রকেটের মধ্যে দু’টি স্তরে রয়েছে কঠিন জ্বালানি এবং একটি স্তরে তরল জ্বালানি।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’-কে চাঁদের পিঠে নামাতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিল ইসরো-র চন্দ্রযান-২। এরপর আবার নতুন করে চাঁদের মাটি ছোঁয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরো। অতীতে যে অরবিটরটি অভিযানে পাঠানো হয়েছিল, তা এখনও চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। এই কারণে চাঁদের কক্ষপথে আর কোনও অরবিটর পাঠাচ্ছে না ইসরো। চন্দ্রযান-২ এর অরবিটারেরই সাহায্য নেওয়া হবে এইবার বলে জানা যাচ্ছে।

চন্দ্রযান-৩ এর সঙ্গে যাওয়া ল্যান্ডার আর তার ভিতরে থাকা রোভার সাহায্য নেবে চন্দ্রযান-২ এর অরবিটারের।
চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদের মাটি স্পর্শ করতে পারলে দু’সপ্তাহ ইসরো গবেষণা করবে। এই গবেষণা করতে ইসরো ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা এবং NASA র সাহায্য নেবে।

চন্দ্রপৃষ্ঠে নিরাপদ অবতরণ এবং সেখানে চলাচলের ক্ষেত্রে এন্ড-টু-এন্ড ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য এটি চন্দ্রযান-২-এর একটি ফলো-অন মিশন। এটিতে একটি ল্যান্ডার এবং রোভার কনফিগারেশন রয়েছে। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-III দ্বারা চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করা হবে।

প্রোপালশন মডিউলটি ১০০ কিলোমিটার চন্দ্র কক্ষপথ পর্যন্ত ল্যান্ডার এবং রোভার কনফিগারেশন বহন করবে। চন্দ্র কক্ষপথ থেকে পৃথিবীর বর্ণালী এবং পোলারিমেট্রিক পরিমাপ অধ্যয়ন করার জন্য এটিতে বাসযোগ্য প্ল্যানেট আর্থ পেলোডের একটি স্পেকট্রো-পোলারমিট্রি রয়েছে।