Ukrane War: পুতিনের সঙ্গে কথা মোদীর

নয়াদিল্লি: ইউক্রেন সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হয়েছে ভারত। সোমবার সকালের দিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুপুরের দিকে কথা বললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট…

নয়াদিল্লি: ইউক্রেন সমস্যার সমাধানে উদ্যোগী হয়েছে ভারত। সোমবার সকালের দিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দুপুরের দিকে কথা বললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদির পুতিনের সঙ্গে। প্রায় ৫০ মিনিট ধরে পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছেন মোদী।

ইউক্রেন সমস্যার সমাধান নিয়ে কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের। সরাসরি ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে কথা বলার জন্য পুতিনকে প্রস্তাব দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আবেদন জানানো হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে। প্রবাসীদের দেসে ফেরাতে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য পুতিনের কাছে আবেদন করেছেন মোদী। এমনই যানা গিয়েছে সূত্র মারফত।

   

সকালের দিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ফোন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রায় ৩৫ মিনিট কথা হয় দুই রাষ্ট্র প্রধানের। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ থামানো নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা করেছে ইউক্রেন। সেই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন মোদী। সেই সঙ্গে ইউক্রেনে আটকে থাকা প্রবাসীদের দেশে ফেরাতে স্থানীয় প্রশাসনের সাহায্যের প্রশংসা করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এমনই জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।

ভারত সরকার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে এদিনই রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলবেন মোদী। জেলেনস্কির মতোই ফোনে কথা মোদীর সঙ্গে কথা হবে পুতিনের। মূলত যুদ্ধের ব্যপ্তি যাতে বেশি না হয় সেই বিষয়েই কথা বলবেন বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের প্রশাসনিক প্রধান। এর আগে অউতিনের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল মোদীর। যুদ্ধের আবহে এটি হতে চলেছে ভারতের সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানের দ্বিতীয় বৈঠক। সেই বৈঠকের দিকেই এখন তাকিয়ে সমগ্র বিশ্ব।

দেড় প্রায় দুই সপ্তাহ হতে চলল যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে রাশিয়া এবং ইউক্রেন। রাশিয়ার সামরিক সজ্জার কাছে ইউক্রেন কিছুই নয়। এই অবস্থায় যুদ্ধ শুরুর সময়ে দেশ বাঁচাতে ভারতের সাহায্য চেয়েছিল ইউক্রেন। ভারতে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ইগর পালিখা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন রাশিয়ার উপরে প্রভাব খটিয়ে যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার জন্য।