‘বাংলাদেশ থেকে ঢুকেই কালো পোশাক পরা লোকগুলো গুলি চালাল’, সীমান্ত এলাকায় আতঙ্ক

‘বাংলাদেশ থেকে ওরা ঢুকছিল। সবাই কালো পোশাক পরা। আমরা ওদের দেখতে পেয়ে চিৎকার করি। তখনই ওই লোকগুলো গুলি চালাল। গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে ওরা ফের বাংলাদেশের (Bangladesh) দিকে চলে গেছে।’

‘বাংলাদেশ থেকে ওরা ঢুকছিল। সবাই কালো পোশাক পরা। আমরা ওদের দেখতে পেয়ে চিৎকার করি। তখনই ওই লোকগুলো গুলি চালাল। গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে ওরা ফের বাংলাদেশের (Bangladesh) দিকে চলে গেছে।’ একরাশ আতঙ্ক নিয়ে নিয়ে এমনই জানাচ্ছেন সীমান্তের গ্রামবাসীরা। কারা ওরা? কেন আসে ভারতে ?

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাঁটাতার কেটে আসা কালো পোশাক পরা কয়েকজন মাঝে মধ্যে হামলা চালায়। বিএসএফের নজরদারি কই? এমনই প্রশ্ন উঠছে।

অসমের (Assam) বরাক উপত্যকার বাংলাভাষী প্রধান জেলা করিমগঞ্জের (Karimganj) আমলা গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, রাত হলেই মাঝে মধ্যে সীমান্তের দিক থেকে কালো পোশাক পরা অনেকে ঢুকে পড়ে। ওরা বাংলাদেশি ডাকাত করিমগঞ্জে ডাকাতি করতে আসে। এই আনাগোনা বেড়েছে।

বাংলাদেশের দিক থেকে অনুপ্রবেশ ও ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্কিত দক্ষিণ করিমগঞ্জের সীমান্তবর্তী গ্রামেরবাসীরা। তাদের অভিযোগ, এদিকের বিএসএফ ও বাংলাদেশের বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) পাহারা এড়িয়ে ডাকাতরা আসছে বারবার। তারা সশস্ত্র থাকে। যখন তখন গুলি চালায়।

করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি ও কাছাড় এই তিন জেলা নিয়ে বাংলাদেশ সংলগ্ন অসমের বাংলাভাষী অধ্যুষিত বরাক উপত্যকা।

করিমগঞ্জের পাথারকান্দি থানার অন্তর্গত আমলা গ্রামের বাসিন্দারা সীমান্ত এলাকায় কালো পোশাক পরা কয়েকজনকে ভারতের দিকে ঢুকে গুলি চালিয়েছে। তদন্তে নেমে পাথারকান্দি থানার পুলিশ উদ্ধার করেছে একটি তার কাটার যন্ত্র, একটি বন্দুক আর সীমান্তের খুব কাছে ভারতীয় জমিতে পড়ে থাকা বাংলাদেশের সিগারেট প্যাকেট।

বাংলাদেশি ডাকাতরা ফের আসবে এমনই আশঙ্কা করছেন করিমগঞ্জের সীমান্ত এলাকাবাসী। তাদের দাবি বিএসএফের পাহারা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হোক।