Shahid Latif Murder: পাঠানকোট হামলার জঙ্গি নেতা লতিফকে ছেড়ে দিয়েছিল ভারত সরকার

পাকিস্তানেই গুলিতে নিহত পাঠানকোট হামলার চক্রী সইদ লতিফ। শিয়ালকোটে তাকে গুলি করে মারা হয়েছে। নিজের দেশেই জঙ্গি লতিফ শহিদকে কে বা কারা গুলি করে মারল…

পাকিস্তানেই গুলিতে নিহত পাঠানকোট হামলার চক্রী সইদ লতিফ। শিয়ালকোটে তাকে গুলি করে মারা হয়েছে। নিজের দেশেই জঙ্গি লতিফ শহিদকে কে বা কারা গুলি করে মারল তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন। যদিও ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই নীরব। জইশ ই মহম্মদ সংগঠনের লতিফ শহিদ এমন এক জঙ্গি নেতা যে আগে ভারতে বন্দি হয়েছিল পরে সাজা শেষে তাকে পাকিস্তান ফেরত পাঠানো হয় ২০১০ সালে। প্রতিরক্ষা ও সন্ত্রাসবাদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল জেনে শুনে ভুল করে চরম শিক্ষা। যেটা কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ আমলে পেয়েছিল ভারত সরকার। আর বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ আমলে পাঠানকোটের বায়ুসেনা ঘাঁটিতে জঙ্গি হামলা ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থার চরম গাফিলতি।

কে এই সইদ লতিফ? গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, পাক নাগরিক লতিফের জন্ম শিয়ালকোটে। সে গুজরানওয়ালায় থাকত। সইদ জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের গুরুত্বপূর্ণ নেতা। সে শিয়ালকোটে জইশ-এর লঞ্চিং কমান্ডারও ছিল।লতিফকে ১৯৯৪ সালের ১২ নভেম্বর মাদক ও সন্ত্রাস সংক্রান্ত একটি মামলায় জম্মু থেকে গ্রেফতার করা হয়।২০১০ সালে তাকে মুক্তি দেয় তৎকালীন ইউপিএ সরকার। এরপর লতিফ জইশের হয়ে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরিকল্পনা শুরু করে এবং জঙ্গি পাঠাতে শুরু করে। পাঠানকোট হামলার মাস্টারমাইন্ড ছিল লতিফ। শুধু তাই নয়, লতিফ ১৯৯৯ সালে কান্দাহার বিমান ছিনতাই মামলায়ও অভিযুক্ত ছিল।

২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে অনন্তনাগের কোকেরনাগের জঙ্গলে এক এনকাউন্টারের ঘটনা ঘটে। এতে ভারতীয় কর্নেল ও মেজর সহ ৪ জন সেনা নিহত হন। এই এনকাউন্টারে দুই জঙ্গিও নিহত হয়। এই অপারেশন প্রায় ৬ দিন স্থায়ী হয়েছিল। এর মাস্টারমাইন্ডও ছিল লতিফ। 

২০১৬ সালে পাকিস্তান থেকে ভারতে নাশকতার জন্য জইশ ই মহম্মদ জঙ্গিরা বেছে নিয়েছিল পাঠানকোটের ভারতীয় বিমান বাহিনীর পশ্চিমাঞ্চলের সদর দফতর। এই হামলায় ৫ জন জওয়ান শহিদ হন। নিরাপত্তা বাহিনী ওই চার জঙ্গিকেও হত্যা করেছে। লতিফ এই জঙ্গিদের কমান্ড দিচ্ছিল।  এই এয়ারফোর্স স্টেশনটি ১৯৬৫ ও ১৯৭১ সালের ভারত-পাক যুদ্ধে বড় ভূমিকা পালন করে। এটি মিগ-২১ ফাইটার বিমানের বেস স্টেশন।

তবে এই প্রথম নয়, চলতি বছরে ২০ ফেব্রুয়ারি বশির আহমেদ পিয়ার ওরফে ইমতিয়াজ বশির আহমেদ পিয়ার ওরফে ইমতিয়াজ আলম পাকিস্তানে নিহত হয়। পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে তাকে গুলি করে মারা হয়। ভারত সরকার গত বছর তাকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করেছিল। রাওয়ালপিন্ডি থেকে সে জম্মু ও কাশ্মীরের অনুপ্রবেশকারী সন্ত্রাসবাদীদের রসদ ও অন্যান্য সরঞ্জাম করত। জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারার বাসিন্দা ছিল বশির।