TMC: তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়লেন দলের সাধারণ সম্পাদক

Yatish Naik, general secretary of the Goa Trinamool Congress

ভরাডুবি হতে চলেছে। এসেছে এমনই রিপোর্ট।  রাজনৈতিক মহল মনে করছে, গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) হাল ত্রিপুরার মতোই হবে। ত্রিপুরা পুর নির্বাচনেও আগে তৃণমূল অনেক বাগাড়ম্বর করেছিল। কিন্তু তাদের শুকনো মুখে ফিরতে হয়েছে। যদিও ভোট বেড়েছে।

Advertisements

এবার গোয়া বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে গোয়ায় তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়লেন দলের সাধারণ সম্পাদক। ভোটগ্রহণের আর একমাসও দেরি নেই। গোয়ায় এবার অনেক আশা নিয়ে পা রেখেছিল পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। গোয়া নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে ছিল। কিন্তু তাদের সেই ঢাক ফুটো করে দিচ্ছেন গোয়া টিএমসির একের পর এক নেতা।

   

বিশ্লেষণে এসেছে পশ্চিম উপকূলের এই রাজ্যে তৃণমূলের আদৌ কোনও জনভিত্তি নেই। বিভিন্ন দল থেকে কিছু বুড়ো নেতাকে ভাঙিয়ে এনে তারা লড়াই করার কথা জানিয়েছিল। দিয়েছিল অনেক অবাস্তব প্রতিশ্রুতি। কংগ্রেস ও অন্যান্য দল থেকে এসে কয়েক দিন তৃণমূলে থাকার পরে অনেকেই আবার নিজেদের দলে ফিরে গিয়েছেন। তারই সর্বশেষ সংযোজন হলেন ইয়াতিস নায়েক।

ইয়াতিস ছিলেন গোয়া তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। জানা গিয়েছে, দলের উপর প্রবল ক্ষুব্ধ হয়েই তৃণমূল ছেড়েছেন ইয়াতিস। দলের সভাপতিকে দেওয়া চিঠিতে ইয়াতিস জানিয়েছেন, গোয়ায় যেভাবে দল কাজ করছে তা মেনে নেওয়া যায় না। সে কারণেই তিনি এই দলে থাকার প্রয়োজন বোধ করছেন না। বিভিন্ন দল থেকে সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রার্থীদের ভূত-ভবিষ্যৎ বিচার না করেই নির্বিচারে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। এতে আখেরে ক্ষতি হচ্ছে দলের। তিনি আপত্তি জানালেও তাঁর কথায় দলীয় নেতৃত্ব কান দিচ্ছে না। তাই তিনি অপমানিত বোধ করছেন। সে কারণেই তিনি তৃণমূল ছাড়ছেন। তবে ইয়াতিসকে তৃণমূল বিধানসভা নির্বাচনের টিকিট দেয়নি। সে কারণেই তিনি তৃণমূল ছেড়েছেন বলে দলীয় সূত্রে খবর।

Advertisements

সম্প্রতি গোয়া তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া একের পর এক নেতাই দল ছেড়ে চলে গিয়েছেন। গোয়ায় দলত্যাগীরা এই দলকে চরম সাম্প্রদায়িক তকমা দিয়েছেন। অভিযোগ করেছেন, তৃণমূল ধর্মের ভিত্তিতে গোয়াবাসীর মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে চাইছে। তাই এই দলে থাকা যায় না। গোয়ার ধর্মনিরপেক্ষতাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে তাঁরা বদ্ধপরিকর। সে কারণেই তাঁরা তৃণমূল ছেড়েছেন।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, তৃণমূল মুখে যতই লম্বা-চওড়া কথা বলুক না কেন, গোয়ায় তাদের কোনও ঠাঁই নেই। আসন্ন নির্বাচনেই সেটা স্পষ্ট হয়ে যাবে।