বাইশ গজের শত্রু আবার ব্যক্তিগত বন্ধু। আর বন্ধুর জন্য একটু অনুরোধ করাই যায়। সেই সূত্রে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের তরফে ফোন করে সিধুকে পাঞ্জাব (Punjab) মন্ত্রিসভায় জায়গা দিতে অনুরোধ করা হয়েছিল। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং।
পাঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের আগে অমরিন্দর সিংয়ের এমন মন্তব্য ঝড় তুলছে। সোমবার দিল্লিতে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। কংগ্রেস ছেড়ে তিনি এখন বিজেপি ঘনিষ্ঠ।
বিধানসভা নির্বাচনের আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করার জন্য এদিন দিল্লিতে ছিলেন অমরিন্দর সিং। তিনি বলেন, ইমরান খান চেয়েছিলেন সিধুকে পাঞ্জাব মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে দেখতে। সেসময় আমি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম। এমন এক ব্যক্তি ফোন করেছিলেন যিনি সিধু এবং আমার দুজনেরই পরিচিত। তবে কে তাঁকে ফোন করেছিলেন সে বিষয়ে একটি কথাও বলেননি অমরিন্দর।
পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, তাঁকে ফোন করে বলা হয়েছিল, সিধুকে মন্ত্রিসভায় একটু জায়গা দিন। যদি কাজ করতে না পারে তখন না হয় বের করে দেবেন।
উল্লেখ্য সিধুর সঙ্গে ইমরানের ঘনিষ্ঠতা রাজনৈতিক মহলে সর্বজনবিদিত। সুযোগ পেলেই দুজনেই একে অপরের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হন। ২০১৮ সালে পাক প্রধানমন্ত্রী পদে ইমরানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিধু। সে সময় পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে বুকে জড়িয়ে ধরে নতুন এক বিতর্ক তৈরি করেছিলেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে সিধু ইমরানকে নিজের বড় ভাই বলেও সম্বোধন করে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি করেন।
সিধু একসময় বিজেপি সাংসদ ছিলেন। পরে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন। কংগ্রেসে প্রত্যাবর্তনের পর থেকেই তাঁর সঙ্গে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের মতপার্থক্য বেড়েই চলে। যার জেরে এক সময়ে অমরিন্দরকে প্রথমে মুখ্যমন্ত্রীর পদ এবং পরবর্তী ক্ষেত্রে কংগ্রেস ছাড়তে হয়।