Police: ১৫ দিনের মধ্যে ট্যাটু মুছুন! পুলিশকর্মীদের নির্দেশ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের

চাকরি বাঁচাতে চাইলে গায়ে-হাতে থাকা ট্যাটু দ্রুত মুছে ফেলুন! পুলিশকর্মীদের (Police) এমনই নির্দেশ দিল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার বাংলার পড়শি রাজ্য ওডিশার। সে রাজ্যের স্পেশাল…

চাকরি বাঁচাতে চাইলে গায়ে-হাতে থাকা ট্যাটু দ্রুত মুছে ফেলুন! পুলিশকর্মীদের (Police) এমনই নির্দেশ দিল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার বাংলার পড়শি রাজ্য ওডিশার। সে রাজ্যের স্পেশাল সিকিউরিটি ব্যাটালিয়নের (এসএসবি) কর্মীদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে গায়ে-হাতে থাকা সমস্ত ট্যাটু মুছে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে ওডিশা পুলিশ। এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে তারা।

ওডিশা পুলিশের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, উর্দি পরিহিত ব্যক্তিদের শরীরে থাকা এই ধরনের ট্যাটু থাকলে তা খুব সহজেই সাধারণ জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। পুলিশের উর্দির সঙ্গে বহু ট্যাটুই একেবারে মানানসই নয়। কারণ দেখা যায়, অনেক ক্ষেত্রেই সেই ট্যাটু অবমাননাকর এবং অপমানজনক। তাই পুলিশকর্মীদের শরীরে এই ধরনের ট্যাটু থাকা বাঞ্ছনীয় নয়।

সমস্ত আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওডিশা পুলিশের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে। তাতে বলা হয়েছে, যে সমস্ত পুলিশকর্মীদের শরীরে থাকা ট্যাটু খুব সহজেই জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম, খুব দ্রুত তাঁদের তালিকা আধিকারিকদের জমা দিতে হবে। উল্লেখ্য, এসএসবি-র কর্মীদের মাঝে মধ্যেই স্পেশাল ডিউটি দেওয়া হয়ে থাকে।

মুখ্যমন্ত্রী বাসভবন, রাজভবন থেকে শুরু করে রাজ্যের সচিবালয়, ওডিশা বিধানসভা এবং হাইকোর্টে ডিউটি থাকে ওডিশার এসএসবি-র। একই সঙ্গে রাজ্যের ভিভিআইপিদের নিরাপত্তার দায়িত্বও থাকে এই বাহিনীতে থাকা পুলিশকর্মীদের উপর। সেই কারণেই তাঁদের শরীরে ট্যাটু থাকা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। তারপরই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ওডিশা পুলিশ।

এদিকে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরই শরীরে ট্যাটু থাকা পুলিশকর্মীরা ফুল হাতা জামা পরতে শুরু করেছেন। অনেকে উঁচু কলার দেওয়া পোশাকও পরছেন। লক্ষ্য একটাই, যেন তেন প্রকারে শরীরে থাকা ট্যাটু ঢাকা দেওয়া। ওডিশার এসএসবি-তে বর্তমানে প্রায় ১১০০ জন পুলিশকর্মী কর্মরত। তাঁদের অনেকের হাত এবং গলায় কঙ্কাল, গোলাপ, ড্রাগন, সিংহ সহ বিভিন্ন ধরনের ট্যাটু রয়েছে।

আচমকা ওপরমহলের এহেন নির্দেশে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। প্রকাশ্যে কিছু না বললেও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ওডিশা এসএসবি-র কর্মীরা ক্ষুব্ধ। আর কোনও উপায় না থাকায় অনেকেই খোঁজখবর শুরু করে দিয়েছেন, কীভাবে শরীরে থাকা ট্যাটু মুছে ফেলা যায়।