দেশে নতুন করে ঘৃণা তৈরি করছে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস্’ (kashmir files)। অবিলম্বে এই সিনেমা বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এবার সরব হলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লাহ।
তিনি বলেন, আমি সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি জানিয়েছি যে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ সিনেমার জন্য মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। এটা কী সত্যি যে একজন মুসলমান, একজন হিন্দুকে খুন করবে আর ভাতের সঙ্গে মাখিয়ে তাঁর স্ত্রীকে বলবে তুমি এটা খাও। এটা হতে পারে? আমরা কী এতটাই নিচে নেমে গেছি? এই সিনেমার কোনও সত্যতা নেই। এটা সারা দেশের মধ্যে হিংসা ছড়াচ্ছে। এমনকি সেনা জওয়ানদের মধ্যেও এর প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। সারা দেশে মুসলমানদের ওপর যেভাবে অত্যাচার চলছে, তাতে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য ভয়ঙ্কর হতে পারে। এধরনের সিনেমা যা ঘৃণা ছড়ায়, তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।
#WATCH We met LG Manoj Sinha to raise the issue of the law & order situation in J&K. During the meeting, I told him that the film 'The Kashmir Files' has given birth to hate in the country. Such things (films) should be banned: Dr Farooq Abdullah, National Conference pic.twitter.com/Z1BkoNijRO
— ANI (@ANI) May 16, 2022
মুক্তি পর থেকেই বিতর্ক শুরু হয়েছে বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস্’ কে নিয়ে। বিপুল সংখ্যক জনপ্রিয়তা অর্জনের সক্ষম এই ছবিটিকে সমর্থন করেছিল বিজেপি। এমনকি সমর্থক এবং কর্মীদের এই সিনেমা দেখার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন বিজেপি নেতারা। সেই বিতর্কের অবসান এখনও হয়নি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জম্মু-কাশ্মীরের বুধগাম জেলার চাঁদুরা এলাকায় সরকারী অফিসের ভিতর ঢুকে এক সরকারী কর্মচারীকে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। মৃতের নাম রাহুল ভাট। তাঁকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার উত্তাপ ছড়িয়েছে উপত্যকায়৷ কাশ্মীরের রাস্তায় নিরাপত্তার দাবীতে বিক্ষোভে বসেন কাশ্মীরি পণ্ডিতরা৷
তাঁদের বক্তব্য, আমরা এখানে সুরক্ষিত বলে মনে করছি না। আমাদের নিরাপত্তা প্রয়োজন। আমরা যেখানে নিরাপদ আমাদের সেখানে নিয়ে যাওয়া হোক। আমরা যে কোনও জায়গায় যেতে রাজি। আমাদের জন্য কিছু করা হয়নি।
এরই মধ্যে কাশ্মীরের হিন্দু সম্প্রদায়কে হুমকির চিঠি দিল জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-ইসলাম। চিঠির মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠনের বার্তা, হয় কাশ্মীর ছাড়ো, না হয় মরো। এই ঘটনার পরেই মন্তব্য করে বসলেন বর্ষীয়ান নেতা।