ইউক্রেনে হামলা (Ukraine War) রুশ বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে যুদ্ধ থামানোর বার্তা মোদীরচালিয়ে গোটা বিশ্বে কার্যত এক ঘরে অবস্থায় রাশিয়া। এই অবস্থায় হাতেগোনা যে কয়েকটি দেশ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলেছে তার মধ্যে ভারত অন্যতম।
বৃহস্পতিবার রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ভারতে এসেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় তিনি মুখোমুখি হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। প্রধানমন্ত্রীর অফিস সূত্রে খবর, রুশ বিদেশ মন্ত্রীর সঙ্গে এদিন ইউক্রেন-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন মোদী। এই বৈঠকে ল্যাভরভের কাছে অবিলম্বে যুদ্ধ থামানোর আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।
রুশ বিদেশমন্ত্রী মোদীকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সর্বশেষ পরিস্থিতি ও শান্তি আলোচনায় সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য বিস্তারিত জানিয়েছেন। পিএমওর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুদ্ধ থামানোর জন্য রাশিয়াকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মোদী।
গত দুই সপ্তাহের মধ্যে এই প্রথম কোন বিদেশি প্রতিনিধির সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করলেন মোদী। অন্যদিকে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম রাশিয়ার কোনও শীর্ষস্থানীয় নেতা বা মন্ত্রী ভারতে এলেন।
মোদী ও ল্যাভরভ এদিন ৪০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে কথা বলেন।এদিনের বৈঠকে মোদী আরও একবার রুশ বিদেশ মন্ত্রীকে জানিয়েছেন, যুদ্ধ থামিয়ে শান্তি স্থাপনে ভারত যেকোনও ভূমিকা নিতে প্রস্তুত আছে।
বৈঠকে ল্যাভরভ ভারতকে তার চাহিদা মতো যে কোনও পণ্য অনেক সস্তা দরে বিক্রি করার আশ্বাস দিয়েছেন। ল্যাভরভ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও চাপই ভারত ও রাশিয়ার দীর্ঘকালীন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না।
গত ১৫ দিনের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, চিন, অস্ট্রিয়া এবং মেক্সিকোর একাধিক নেতা মন্ত্রী ভারত সফরে এসেছেন। কিন্তু তাঁদের কারও সঙ্গেই মোদীর মুখোমুখি বৈঠক হয়নি।
এদিনের বৈঠকের পর কূটনৈতিক মহল মনে করছে, আমেরিকার হুমকি সত্ত্বেও পুরনো বন্ধু রাশিয়ার হাত ছাড়ছে না ভারত। উত্তর সীমান্তে চিনের আগ্রাসন রুখতে ভারত আমেরিকাকে পাশে চায় এটা ঠিক, তবে তার মানে এই নয় যে, তারা রাশিয়া সঙ্গ ত্যাগ করবে। ইতিমধ্যেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নস্যাৎ করে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনার চুক্তি করেছে ভারত। যা নিয়ে প্রকাশ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চলতি পরিস্থিতিতে ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক যে জায়গায় রয়েছে তাতে মোটেই খুশি নয় আমেরিকা।