প্যারিস থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরেই ঢাকার মাটিতে পা রাখলেন ডা.মহম্মদ ইউনূস। এদিন সন্ধ্যেতেই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে ওপার বাংলার কয়েক কোটি মানুষ। কিন্তু শুধু ওপার বাংলাই নয়, মহম্মদ ইউনূস বাংলার মসনদে বসবেন। সেদিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রয়েছে বর্ধমানের একটি বাঙালি পরিবার।
Bangladesh: প্রতিবেশী বাংলাদেশে অশান্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ভারতীয় সেনার সিডিএসের
হ্যাঁ, বর্ধমান শহরের প্রাণকেন্দ্র রানীগঞ্জ বাজারের কাছেই লস্করদীঘী শ্বশুরবাড়ি ডা. ইউনূসের। এই বাড়িতেই আজ বইছে খুশির হাওয়া। কারণ এই মানুষটির হাতেই এখন নির্ধারিত হবে বাংলার বর্তমান-ভবিষ্যত।
এই বাড়ির মেয়ে স্ত্রী, আফরোজি বেগমকে বিয়ে করেছেন ডা. ইউনূস। এখন এই বাড়িতেই থাকেন তাঁর সম্পর্কিত শ্যালক আর তার পরিবার। শ্যালক আসফাক হোসেন ওরফে বাবু মিয়া জানিয়েছেন, মহম্মদ ইউসুফের সঙ্গে তাঁদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। সেই জামাইবাবুর কাছে শ্যালকের কী আবদার? আসফাক বলেছেন, “ভারতের সঙ্গে আরও মধুর সম্পর্ক গড়ে তুলুন।
অরাজক ও-পার বাংলা, বাংলাদেশের ভারতীয় ভিসা সেন্টারগুলো নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত দিল্লির
আর এই কথাতেই সন্দেহের কালো মেঘ ঘনিয়ে আসছে বারবার। কারণ ক্ষমতা হাতে নেওয়ার আগেই ভারতকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এপারের জামাই ডা. ইউনূস। বাংলাদেশকে অস্থির করলে পশ্চিমবঙ্গকেও অস্থির করে তোলা হবে বলে জানান তিনি। এবং সেই অশান্তির আগুন মিয়ানমারসহ বাংলাদেশের চারপাশে ছড়িয়ে পড়বে এবং পশ্চিমবঙ্গ, সেভেন সিস্টার্সে ছড়িয়ে পড়বে। এটি আমাদের চারপাশে এবং মিয়ানমারের সর্বত্র আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মতো হবে। বড় সমস্যা হবে, কারণ এখানে লাখ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে।”
বাংলায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে বৃহৎ বাংলাদেশি দলের অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করল বিএসএফ
অর্থ্যাত্ এই বক্তব্যের মধ্যে পরিষ্কার যে ইউনূস চোখে চোখ রেখে নয়াদিল্লির সঙ্গে কথা বলতে চান। এবং সেটা কোনও বিদেশি শক্তির সমর্থন ছাড়া সম্ভব নয়। এবিষয়ে বুঝতে পারছে নয়াদিল্লি। কিন্তু এপার বাংলা অশান্ত করে আখেড়ে কী লাভ ইউনূসের? কূটনৈতিক মহলের মতে, দুপারেই বাঙালি জাতি ও জনসংখ্যা রয়েছে কয়েক কোটি। দুই বাংলাতেই মুসলিম জনসংখ্যার আধিক্য রয়েছে যথেষ্ট। তাই প্রয়োজনে এপার বাংলাকে অশান্ত করতেও হয়তো পিছুপা হবেন না তিনি। তাই শ্বশুরবাড়ির পরিবার যতই কাছে সুসম্পর্কের আশা করুক, জামাত ও বিদেশি চক্রান্তের ফাঁপড়ে পড়ে ‘শ্বশুরবাড়ি’কেও অস্থির করতে পারেন জামাই।