Sex Racket : মধু চক্রের আসর বানচাল করে ১০ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ

ফের মধু চক্রের (Sex Racket) পর্দা ফাঁস করল পুলিশ। বুধবার ম্যাঙ্গলোরে গ্রেফতার করা হয়েছিল সাতজনকে। ১৭ বছরের এক কিশোরীকে যৌন অত্যাচারের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।…

ফের মধু চক্রের (Sex Racket) পর্দা ফাঁস করল পুলিশ। বুধবার ম্যাঙ্গলোরে গ্রেফতার করা হয়েছিল সাতজনকে। ১৭ বছরের এক কিশোরীকে যৌন অত্যাচারের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। পকসো আইনের আওতায় সম্প্রতি আলাদা চারটি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। 

রিপোর্ট অনুযায়ী, ধৃত সাতজনের মধ্যে তিনজন শারীরিক অত্যাচার চালিয়েছিল সতেরো বছর বয়সী সংখ্যালঘু কিশোরীর ওপর। অত্যাচারের পর বাকি চারজন তাকে নিয়ে গিয়েছিল তাদের ক্লাইন্টের কাছে। 

পুলিশের পক্ষ থেকে কমিশনার এন শশী কুমার জানিয়েছেন, ‘নির্যাতন এবং বল পূর্বক দেহ ব্যবসায় নামানোর অভিযোগে আরও সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ম্যাঙ্গলোরে লিয়ানা অ্যাপার্টমেন্টে এই ব্যবসা চালানো হচ্ছিল। ব্ল্যাক মেল করে মহিলাদের নামানো হচ্ছিল যৌন ব্যবসায়।’ 

এর আগে ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখে তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। যার মধ্যে দু’জন মহিলা। উদ্ধার করা হয়েছিল দুই সংখ্যালঘু মহিলাকে। আইনের পাশাপাশি বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য কাউন্সিলিংয়ের সাহায্যও নিচ্ছে পুলিশ। কিশোরীর পাশাপাশি যুবতীদেরও নামানো হয়েছিল মধু চক্র। এই অসাধু ব্যবসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যৌথ অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ এবং চাইল্ড ডেভেলপমেন্টে ডিপার্টমেন্ট। ধৃতদের মধ্যে মুখ্য অভিযুক্ত শামিমা নামের এক মহিলা। এছাড়াও মহম্মদ শরিফ (৪৬), সানা (২৪), উমর কুনহি (৪৩), মহম্মদ হানিফ (৪৬), সন্দীপ (৪৩), প্রবীণ ডি সুজা (৪০) এবং রাড়নাথ (৪৮)-কে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

‘গ্রেফতার হওয়া দশজনের মধ্যে সাতজনের একটা দল মধু চক্র পরিচালন করতো। বাকি তিনজন ক্লাইন্ট। যৌন নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে,’ পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন। ‘সংখ্যালঘু মেয়েটির সঙ্গে অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের যোগাযোগ হয়েছিল। তাকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। মেয়েটিকে উপহার, টাকা ইত্যাদির লোভ দেখানোর পর মধু চক্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।’ 

তিনি আরও বলেছেন, ‘মেয়েটির ওপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছিল। ভয় দেখানো হয়েছিল। সিসিটিভিতে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ফুটেজ রয়েছে বলে ব্ল্যাক মেল করা হতো তাকে। কিশোরী প্রতিবাদ জানালেও কোনো কাজ হয়নি। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে দিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার পন্থা নিয়েছিল ধৃত অভিযুক্ত।’ 

এন শশী কুমারের মতে, তিন মাসে ছ’বার ধর্ষণ করা হয়েছিল কিশোরীকে। সামিনা নামের মূল অভিযুক্ত সংখ্যালঘুদের সঙ্গে যোগাযোগের কাজ সমলাতো বলে মনে করা হচ্ছে। ক্লাইন্টদের সঙ্গে রফাও সে করতো বলে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে। প্রায় আড়াই মাস ধরে মধু চক্রের আসার রমরমিয়ে চালাচ্ছিল সামিনা ও তার দলবল।