গরমের বলি ২৫, সানস্ট্রোকে আক্রান্ত প্রায় ৪০০

চলতি গ্রীষ্মে মহারাষ্ট্রে তীব্র দাবদাহে প্রাণ হারিয়েছেন ২৫ জন। হাসপাতালে ভর্তি আরও শতাধিক। মৃতের সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন। গত ছয় বছরের…

চলতি গ্রীষ্মে মহারাষ্ট্রে তীব্র দাবদাহে প্রাণ হারিয়েছেন ২৫ জন। হাসপাতালে ভর্তি আরও শতাধিক। মৃতের সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন। গত ছয় বছরের মধ্যে এবারই প্রথম মহারাষ্ট্রে এত মানুষ গরমের বলি হলেন। গত কয়েকদিন ধরে উত্তর মহারাষ্ট্র, মধ্য মহারাষ্ট্র, মারাঠাওয়াড়া এবং বিধর্ভে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ওপরে ঘোরাফেরা করছে।

কোথাও কোথাও তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। সব থেকে বেশি মৃত্যুর খবর এসেছে বিদর্ভ থেকে। অসহ্য গরমে সেখানে প্রাণ হারিয়েছে ১৫ জন। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নাগপুর। সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ১১জন। মারাঠাওয়াড়ায় মৃতের সংখ্যা ৬। উত্তর মহারাষ্ট্রের জালগাঁওতে প্রাণ হারিয়েছেন চারজন এবং আকোলায় তিনজন। অমরাবতীতে একজন। রাজ্যের প্রায় ৪০০ মানুষ সানস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। সানস্ট্রোকে সব থেকে বেশি আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে নাগপুর থেকে। তীব্র দাবদাহে সেখানে প্রায় ৩০০ জন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর আগে ২০১৬ সালে তীব্র দাবদাহে মহারাষ্ট্রে ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। ডা. প্রদীপ আওয়াতে জানিয়েছেন, মহারাষ্ট্রে এ বছর অস্বাভাবিক গরম পড়েছে। গত ১০০ বছরের মধ্যে মারাঠাভূমে এত গরম পড়ল। এখনও পর্যন্ত ২৫ জনের মৃ্ত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে কয়েকজন মহিলাও আছেন। তাপমাত্রা যে হারে বাড়ছে, তাতে সানস্ট্রোকে আগামীদিনে আরও বহু মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে বলে অনুমান।

মহারাষ্ট্র ছাড়া উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব এবং হরিয়ানাতেও তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাঘাট ফাঁকা। বাস-গাড়িতে লোকজন থাকছে না বললেই চলে। ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে স্কুল-কলেজে গ্রীষ্মের ছুটি পড়ে গিয়েছে।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এক পরামর্শে জানিয়েছে, জরুরি প্রয়োজন না হলে মানুষ যেন বাড়ির বাইরে না যায়। জরুরি কোনও কাজে যেতে হলে হালকা পোশাক ও ছাতা ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। বেশি করে জল খাওয়ার কথাও বলা হয়েছে। আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।