Sex Racket : লোক ভাড়া করে ম্যাসাজ পার্লারের গোপন সত্য উদঘাটন করল ক্রাইম ব্রাঞ্চ

ম্যাসাজ পার্লারের আড়ালে ফের মধু চক্রের (Sex Racket) হদিস। অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিংয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চ চালিয়েছিল অভিযান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আহমেদাবাদের ভাস্ত্রাপুরে চালানো হয়েছিল অভিযান।  পার্লারের আড়ালে…

ম্যাসাজ পার্লারের আড়ালে ফের মধু চক্রের (Sex Racket) হদিস। অ্যান্টি হিউম্যান ট্রাফিকিংয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চ চালিয়েছিল অভিযান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আহমেদাবাদের ভাস্ত্রাপুরে চালানো হয়েছিল অভিযান। 

পার্লারের আড়ালে আসলে কী চলছিল সে ব্যাপারে সন্দেহ আগে ছিলই। তবে সত্য উদঘাটনে দরকার ছিল হতে গরম প্রমাণ। তাই এক অভিনব উপায় অবলম্বন করেছিল ক্রাইম ব্রাঞ্চ। একজনকে ভাড়া করে পাঠানো হয়েছিল হ্যাপি ইন্টারন্যাশনাল স্পা সেন্টারে। ভাস্ত্রাপুর লেকের কাছে একটি বহুতলভবনে চলত সে’টি। 

অভিযানের আগে রাজি করানো হয়েছিল ২৯ বছরের এক যুবককে। ক্লাইন্ট সাজিয়ে তাকে পাঠানো হয়েছিল হ্যাপি ইন্টারন্যাশনালে। পারিশ্রমিক বাবদ দেওয়া হয়েছিল ৫০০ টাকা। এবং ভালো করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল সে যেন কোনোভাবেই স্পা কর্মীর পাতা ফাঁদে পা না দেয়। 

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ স্পা সেন্টারের প্রবেশ করে যুবক। কথা হয় উপস্থিত ম্যানেজারের সঙ্গে। স্পা কর্মী বুঝতে পারেনি যে সেই যুবককে পাঠিয়েছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ। নির্দ্বিধায় শুরু হয় মহিলাদের ছবি দেখানোর পালা। ক্রাইম ব্রাঞ্চের অফিসাররা তখন বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। 

গোলমাল বুঝতে পেরে স্পা’র ভিতর থেকে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা অফিসারদের ইশারা করেন যুবক। সঙ্গে সঙ্গে ভিতরে ঢুকে পড়ে ক্রাইম ব্রাঞ্চের প্রতিনিধিরা। হাতেনাতে ধরা পড়ে সেই ম্যানেজার, যে মহিলাদের ছবি দেখাচ্ছিল যুবককে। ব্রাঞ্চের প্রতিনিধি দলের একজন মহিলা অফিসার সোজা চলে যান সেন্টারের ভিতরে। খুঁজে পান চারটি ঘর। চারজন মহিলাও ছিলেন ভিতরের ঘরগুলোতে। 

ধরা পরার পর ২৮ বছর বয়সী স্পা ম্যানেজার দিলীপ ঠাকুর জানিয়েছেন যে তিনি মাসিক কুড়ি হাজার টাকার বেতনে সেখানে কাজ করেন। এবং ক্লাইন্ট পিছু দেওয়া হয় ২৫০ টাকা। স্পা সেন্টারটির মালিক মুম্বাইয়ের বাসিন্দা হ্যাপি সভ। ম্যানেজার এবং মালিক উভয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।