LGBTQ: সমলিঙ্গ বিবাহের স্বীকৃতি চেয়ে বিচারপতিকে চিঠি ৪০০ পিতা-মাতার

সমলিঙ্গ (LGBTQ) বিবাহের বৈধতা সংক্রান্ত মামলা চলছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এস কে কাউল, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি পি এস নরসিমার বেঞ্চে।

সমলিঙ্গ (LGBTQ) বিবাহের বৈধতা সংক্রান্ত মামলা চলছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এস কে কাউল, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি পি এস নরসিমার বেঞ্চে।

এই পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতির কাছে আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখলেন ৪০০ অভিভাবক। সমলিঙ্গের বিয়ের আইনি স্বীকৃতি চেয়েই ওই চিঠি লিখেছেন তাঁরা।

তাঁদের LGBTQIA++ সন্তানদের (অর্থাত্‍ সমকামী, রূপান্তরকামী, বহুকামীরা) বিয়েতে বৈধতার আর্জি জানিয়েছেন ওই অভিভাবকরা।

সমলিঙ্গ বিবাহের বৈধতা নিয়ে চলতে থাকা মামলার শুনানির মধ্যেই ‘সুইকার- দ্য রেনবো পেরেন্টস’ নামের ওই সংগঠনের এই চিঠিকে এই মুহূর্তে যথেষ্ট তাত্‍পর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘আমরা নিশ্চিত আমাদের দেশের মতো বড় একটা দেশে, যেখানে এমন বৈচিত্র, সেখানে আমাদের সন্তানদের বিয়েকে বৈধতা দিতে আইনি দরজা খুলে দেওয়া হবে। আমাদের বয়স হচ্ছে। কেউ কেউ ৮০ ছোঁবে। আমাদের আশা, আমরা আমাদের জীবদ্দশাতেই আমাদের সন্তানদের ‘রামধনু’ বিয়ে দেখে যেতে পারব।’

প্রসঙ্গত, সমলিঙ্গ বিবাহ ভারতের সামাজিক নৈতিকতার পরিপন্থী, সুপ্রিম কোর্টে এমন হলফনামা দিয়ে আগেই জানিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র। কেন্দ্রের সেই আপত্তি খারিজ করেছে বিচারপতিদের বেঞ্চ। এই নিয়ে চলছে মামলা।

প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তুলেছেন, কেন বিয়ের জন্য একজন পুরুষ ও একজন মহিলাই অপরিহার্য। তিনি বলেন, সমকামিতার সম্পর্ক
কেবল শারীরিক নয়, তা মানসিক সম্পর্কও। যা তৈরি করবে এক স্থায়ী সম্পর্ক।