সংসদে বানর তাড়াতে ‘লঙ্গুর’-এর আগমন

রীতিমতো মশা মারতে কামান দাগা হল। এবার সংসদ ভবন চত্বরে উপদ্রব সৃষ্টিকারী বানরদের তাড়ানোর জন্য চারজনকে নিয়োগ করা হয়েছে। এই চার জনই ‘লাঙ্গুর’-এর শব্দ করে…

রীতিমতো মশা মারতে কামান দাগা হল। এবার সংসদ ভবন চত্বরে উপদ্রব সৃষ্টিকারী বানরদের তাড়ানোর জন্য চারজনকে নিয়োগ করা হয়েছে। এই চার জনই ‘লাঙ্গুর’-এর শব্দ করে বানরদের তাড়িয়ে দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। সংসদ নিরাপত্তা বাহিনীর সার্কুলার থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত ২২ জুন পার্লামেন্ট সিকিউরিটি সার্ভিসের জারি করা এক সার্কুলারে দেখা গেছে, সংসদ ভবন চত্বরে ঘন ঘন বানরের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। এতে সেই রিপোর্টের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, খাবারের অবশিষ্ট জিনিসপত্র ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হয় এবং ভবনের দেখাশোনা করা কিছু কর্মী তা খুলে দেন।

পার্লামেন্ট সিকিউরিটি সার্ভিসের সার্কুলারে বলা হয়েছে, ক্যাটারিং সামগ্রীর অবশিষ্টাংশ ডাস্টবিনে এবং খোলা জায়গায় ফেলে দেওয়া বানর, বিড়াল এবং ইঁদুরকে আকৃষ্ট করার একটি বড় কারণ হতে পারে। সার্কুলারে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে অবশিষ্ট খাদ্যসামগ্রী আশেপাশে না ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

সেইসঙ্গে সার্কুলারে বলা হয়েছে, বানরের উপদ্রব নিয়ন্ত্রণের জন্য পার্লামেন্ট সিকিউরিটি সার্ভিস চারজনকে নিয়োগ দিয়েছে। সংসদে বানরদের তাড়ানোর কাজে নিয়োজিত এক কর্মচারী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আগে বানরদের তাড়ানোর জন্য লাঙ্গুর রাখা হতো, কিন্তু এখন তা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সংসদে বানরদের তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের চুক্তিতে রাখা হয়েছে।’

ভাড়া করা ওই কর্মী বলেন, ‘আমরা লাঙ্গুরের শব্দ ও অন্যান্য ধরনের ব্যবস্থা করে বাঁদরদের তাড়িয়ে দেব। বানরদের তাড়ানোর জন্য দুই ধরনের কর্মী নিযুক্ত রয়েছে, এক শ্রেণীর দক্ষ এবং অন্যটি অদক্ষ কর্মীদের। দক্ষ কর্মীদের ১৭,৯৯০ টাকা এবং অদক্ষ কর্মীদের প্রতি মাসে ১৪,৯০০ টাকা সাম্মানিক দেওয়া হয়।’