Astra Mk2 Missile: মেড ইন ইন্ডিয়া Astra মিসাইল কতটা শক্তিশালী, যা যুদ্ধক্ষেত্রে চিন-PAK-র ঘুম উড়িয়ে দেবে

Astra MK-2 Missile: ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) খুব শীঘ্রই Astra Mk2 এয়ার থেকে এয়ার মিসাইল পরীক্ষা করতে চলেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা 130 থেকে 160…

Astra Mk2 missile

Astra MK-2 Missile: ভারতীয় বায়ুসেনা (Indian Air Force) খুব শীঘ্রই Astra Mk2 এয়ার থেকে এয়ার মিসাইল পরীক্ষা করতে চলেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা 130 থেকে 160 কিলোমিটার। এর গতি এবং নির্ভুলতা এত ভাল যে এটি অবস্থান পরিবর্তন করে এমন লক্ষ্যবস্তুকেও শেষ করে দিতে সক্ষম। এমনকী চিন ও পাকিস্তানও এই ক্ষেপণাস্ত্রকে ভয় পায়।

Indian Missile System: ভারতীয় বিজ্ঞানী এবং প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা অনেক ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা তৈরি করেছেন যা নিরাপত্তার দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এরই মধ্যে এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করা হয়েছে যার নাম শুনলেই কাঁপবে শত্রু। আসলে এই মিসাইলটির নাম Beyond Visual Range Air-to-Air Missile Astra MK-2 যা আকাশ থেকে আকাশে মারতে পারে এবং এটি একটি দেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র। এই ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান আকাশে 160 কিলোমিটার দূর থেকে শত্রুর বিমানকে গুলি করবে।

দীর্ঘ দিন ধরে এই ক্ষেপণাস্ত্রের প্রস্তুতি চলছিল এবং এখন তথ্য অনুযায়ী এটি প্রস্তুত। তবে এটি এখনও পরীক্ষামূলক পর্যায়ে রয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রের বৈশিষ্ট্য শুনলে শুধু অবাকই হবেন না, এমনকী শত্রুরাও কেঁপে উঠবে। তথ্য অনুযায়ী, Astra MK-2 মিসাইলের ওজন 154 কেজি, এর দৈর্ঘ্য 12.6 ফুট এবং এর ব্যাস 7 ইঞ্চি। উচ্চ-বিস্ফোরক বা প্রি-ফ্র্যাগমেন্টেড এইচএমএক্স অস্ত্র এতে ইনস্টল করা যেতে পারে।

শুধু তাই নয়, এই ক্ষেপণাস্ত্রের আরেকটি বড় বৈশিষ্ট্য হল এটি 15 কেজি ওজনের অস্ত্র নিজের সাথে বহন করতে পারে। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি ডুয়াল থ্রাস্ট পালসড রকেট মোটর দিয়ে সজ্জিত, যা এটিকে উচ্চ গতি দেয়। এর আক্রমণের গতিও খুব দ্রুত বলে মনে করা হয়। এই ক্ষেপণাস্ত্রটি 4.5 Mach অর্থাৎ 5556.2 কিলোমিটার বেগে আক্রমণ করতে পারে। অর্থাৎ এক সেকেন্ডে এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতি 1.54 কিলোমিটার।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সুখোই এবং তেজসের মতো হালকা যুদ্ধ বিমান থেকেও এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে। এতে এই বিমানের ফায়ার পাওয়ার আরও বাড়বে। অ্যাস্ট্রা মার্ক-২ এর আরেকটি বিশেষত্ব হলো এটি লক্ষ্যবস্তুকে তাড়া করে হত্যা করে। তার মানে শত্রু বিমান একবার লক্ষ্যবস্তুতে লক করলে পেছন থেকে আক্রমণ করবে। আশ্চর্যজনক বিষয় হল এটিকে লক্ষ্যবস্তুর দিকে ছাড়ার পর মধ্য বাতাসে এর দিক পরিবর্তন করা যায়। কারণ এই ফাইবার অপটিক গাইরো সেরা ইনর্শিয়াল নেভিগেশন সিস্টেমে কাজ করে।