Nipah Virus: নিপার বাংলাদেশ ভেরিয়েন্টে আতঙ্কিত ভারত, শুনশান হয়ে যাচ্ছে কেরল

নিপা ভাইরাসের (Nipah Virus) ‘বাংলাদেশ ভেরিয়েন্ট’ কেরালার কোঝিকোড় জেলায় ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে। বুধবার এই ভাইরাসের পঞ্চম কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। যার জেরে কোঝিকোড় জেলার সমস্ত…

নিপা ভাইরাসের (Nipah Virus) ‘বাংলাদেশ ভেরিয়েন্ট’ কেরালার কোঝিকোড় জেলায় ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে। বুধবার এই ভাইরাসের পঞ্চম কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। যার জেরে কোঝিকোড় জেলার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী দুই দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোঝিকোড় জেলায় ছুটি ঘোষণা করেছেন কালেক্টর এ গীতা। ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, আগামী দুই দিন স্কুল বন্ধ থাকবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য দুদিনের অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করতে পারে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার সময়সূচিতে কোনো পরিবর্তন হবে না।

এর আগেও কেরলে নিপা হামলা হয়েছিল। তবে সে রাজ্যের সিপিআইএম নেতৃত্বাধীন বাম সরকার নিপা ও করোনা মোকাবিলায় বিশ্ব জুড়ে প্রশংসিত হয়েছে। এই কারণে তৎকালীন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজাকে রামন ম্যাগসেসাই পুরষ্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। তবে পুরষ্কার নেননি তিনি। শশীকলা বলেছিলেন, ফিলিপিন্সের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট রামন ম্যাগসেসাই কমিউনিস্ট গণহত্যায় জড়িত তাই পুরষ্কার নেওয়া সম্ভব নয়।

আবার কেরলে নিপা হামলা শুরু হয়েছে। একজন স্বাস্থ্যকর্মীর পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। সংক্রামিত ব্যক্তিদের চিকিতৎসার জন্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ দ্বারা মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডিগুলি আজ উপলব্ধ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে, নিপা ভাইরাস সংক্রমণের একমাত্র চিকিৎসা হল মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি। যদিও এটি এখনও প্রমানিত হয়নি। নিপা ভাইরাসে প্রথম আক্রান্ত নয় বছরের শিশুটির অবস্থা খুবই গুরুতর। শিশুটির সংস্পর্শে আসা ৬০ জনের সন্ধান করা হচ্ছে।

কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানান,যে ছেলেটি কোঝিকোড়ের একটি হাসপাতালে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রয়েছে এবং তার অবস্থা এখনও গুরুতর। তিনি বলেন, “আমরা ICMR (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ) এর সাথে মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডিগুলির জন্য একটি অর্ডার দিয়েছি এবং এটি শীঘ্রই কোঝিকোড়ে আনা হবে। এই আমদানি করা ওষুধটি ইতিমধ্যেই ICMR-এর কাছে পাওয়া যাচ্ছে।”

কেন ভারতে নিপা বা করোনার প্রাথমিক কেস প্রথম কেরালা রাজ্য থেকে শনাক্ত করা যাচ্ছে। AIIMS দিল্লির কমিউনিটি মেডিসিনের অধ্যাপক ডক্টর সঞ্জয় রাই-এর মতে, কেরালার একদিকে জঙ্গল আর অন্যদিকে সমুদ্র। উভয়ের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের প্রাণী রয়েছে। এদের সংস্পর্শে এলে রোগ ছড়ানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। কেরালার প্রতিটি বাড়িতে পশু রাখার প্রথাও রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকারও একই অবস্থা। সেখানেও প্রতিদিন একই ভাবে নতুন নতুন রোগ শনাক্ত হচ্ছে।