Assam: গোরুখুঁটির রক্তাক্ত ঘটনার পর হাতি নিয়ে ফের উচ্ছেদ অভিযানে BJP সরকার

News Desk: উপনির্বাচনে একতরফা জয় পাওয়ার পরেই ফের উচ্ছেদ অভিযানে কোমর কষে নামছেন অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। গোরুখুঁটির রক্তাক্ত ঘটনার পর…

aasam

News Desk: উপনির্বাচনে একতরফা জয় পাওয়ার পরেই ফের উচ্ছেদ অভিযানে কোমর কষে নামছেন অসমের (Assam) মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। গোরুখুঁটির রক্তাক্ত ঘটনার পর সোমবার হতে চলেছে আরও একটি উচ্ছেদ অভিযান। এর জন্য বিশাল সংখ্যায় পুলিশ মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর।

দরং (Darrang)জেলার গোরুখুঁটিতে ( Garukhuti) সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বী বাঙালিদের উচ্ছেদে গুলি চালানো ও মৃত্যুর জেরে বিতর্কে জড়িয়েছে অসম ও কেন্দ্রের কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকার। এর মাঝেই হোজাই (Hojai) জেলার লামডিং (Lamding) সংরক্ষিত বনাঞ্চলে হবে উচ্ছেদ অভিযান।

রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, লামডিং সংরক্ষিত বনাঞ্চলে ৮ ও ৯ নভেম্বর হবে প্রথম পর্যায়ের উচ্ছেদ অভিযান। অর্থাৎ সোমবার সকাল থেকেই শুরু হবে এই উচ্ছেদ। প্রশাসনের তরফে দু দফায় চলবে উচ্ছেদ অভিযান। এরজন্য প্রশাসনের পক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। উচ্ছেদ অভিযানে ‘জবরদখলকারী’ হটিয়ে ১,৪১০ হেক্টর ভূমি উদ্ধার করা হবে। প্রথম দফায় ৫০০ হেক্টর ভূমিকে দখলমুক্ত করার লক্ষ্য স্থির করেছে অসমের বিজেপি সরকার।

আগামী ৮ নভেম্বর লামডিং সংরক্ষিত বনাঞ্চলটির বেতনলা এবং লাংসিপাই গারো বস্তি এলাকায় এবং ৯ নভেম্বর কমারপানি অঞ্চলে উচ্ছেদ অভিযান চলবে।

উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে পুলিশ ও বন বিভাগের কর্তাব্যক্তিদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। এলাকা পরিদর্শন করেছেন অসম পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিক জি পি সিং, হোজাইয়ের জেলা শাসক অনুপম চৌধুরী, পুলিশ সুপার বরুন পুরকায়স্থ ,দক্ষিণ নগাঁও বন ডিভিশন হোজাইয়ের আধিকারিক গুনদীপ দাস।

প্রশাসনের তরফে ওই এলাকা ছেড়ে দেওয়ার জন্য সেখানকার বাসিন্দাদের আহ্বান জানানো হয়। তবে তাদের আহ্বানের পূর্বেই সেখান থেকে সরে গিয়েছে বহু পরিবার।

উল্লেখ্য, হাইকোর্টে হোজাই বিধানসভা কেন্দ্রের প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক শিলাদিত্য দেব (Shiladitya Dev) জনস্বার্থজনিত একটি আবেদন দাখিল করেছিলেন। এই আবেদনের ভিত্তিতে আদালত লামডিং সংরক্ষিত বনাঞ্চলে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছে। বিজেপিতে থাকাকালীন বিতর্কিত মন্তব্য করে বারবার দেশজুড়ে সমালোচিত হয়েছেন শিলাদিত্য দেব। পরে তিনি বিজেপির বিরুদ্ধেই ক্ষোভ দেখান।

সম্প্রতি গোরুখুঁটির রক্তাক্ত উচ্ছেদের কথা মাথায় রেখে রাজ্য প্রশাসন সতর্ক। এবার যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি না ঘটে তার জন্য পুলিশ ও ১১ টিসিআরপিএফ কোম্পানি মোতায়েন করা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে হাতি ,ট্রাকটার, ঘোড়া ,গাড়ি ইত্যাদি।

উল্লেখ্য ২০১১ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত লামডিং সংরক্ষিত বনাঞ্চলের কমারপানি অঞ্চলে ৫ বার উচ্ছেদ হয়েছিল। যদিও এতে কোনও লাভ হয়নি।