বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পরেও নাশকতা মুক্ত হয়নি কাশ্মীর: স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

ভূস্বর্গে (Kashmir) উন্নয়ন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধানের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তার পরবর্তী প্রায় তিন বছরে বিপুল বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন লগ্নিকারীরা। যার মোট…

State Minister for Home Affairs

ভূস্বর্গে (Kashmir) উন্নয়ন এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সংবিধানের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তার পরবর্তী প্রায় তিন বছরে বিপুল বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন লগ্নিকারীরা। যার মোট পরিমাণ ৫১ হাজার কোটি টাকা। সংসদের উচ্চকক্ষে লিখিত প্রতিবার্তায় জানাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

Advertisements

২০১৯ সালের পগস্ট মাস। তখন মাত্র তিন মাস হয়েছে দ্বিতীয় মোদী সরকারের। সেনার সংখ্যা বৃদ্ধি থাকল সমগ্র কাশ্মীরে। সেই সময়ে সংসদে বাদল অধিবেশন চলছে। ওই মাসের পাঁচ তারিখে সংসদে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর করা নথি দেখিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়ে দিলেন যে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের উপর থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে সংবিধানের ৩৭০ এবং ৩৫এ ধারা। যার মাধ্যমে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল কাশ্মীরকে। সেই সঙ্গে সমগ্র রাজ্যটিকে ভেঙে দুটি ভিন্ন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়া হয়।

   

ওই উপায়ে কাশ্মীরে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে বলে সংসদে জানান অমিত শাহ। সেই সঙ্গে কাশ্মীরে হবে বিপুল উন্নয়ন। যা নিয়ে গত তিন বছর ধরে নানাবিধ প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী শিবির। ফের কাশ্মীরে সংবিধানের বিশেষ মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিও করেছিল কংগ্রেস। এই অবস্থায় বুধবার সংসদের উচ্চকক্ষে নয়া তথ্য তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। তিনি জানালেন যে জম্মু-কাশ্মীরে এখনও পর্যন্ত ৪১ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। এটা জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য সরকারের দেওয়া তথ্য।

ভৌগলিক অবস্থানের কারণে কাশ্মীরে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য রয়েছে। যার উপরে ভিত্তি করে সেখানে পর্যটন শিল্প গড়ে উঠেছে। সেই শিল্পের আরও বিকাশের লক্ষ্যেই বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে লগ্নিকারীদের থেকে। তাছাড়াও বিভিন্ন ছোট এবং মাঝারি শিল্প গঠনের প্রস্তাব রয়েছে কাশ্মীরে। সেই সঙ্গে পার্বত্য কাশ্মীরের পাহাড়ের নিচে বিপুল খনিজ সম্পদ রয়েছে। যা থেকেই শিল্প গঠন সম্ভব। সেই সকল সম্ভাবনাময় দিক খতিয়ে দেখেই বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছেন শিল্পপতিরা।

বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পরেও নাশকতা মুক্ত হয়নি কাশ্মীর। রাজ্যসভায় জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেছেন যে ২০১৯ সালের অগস্ট মাসের পাঁচ তারিখের পর থেকে ২০২১ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ৯৯ জন জওয়ান এবং ৮৭ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৪ সালের মে মাস থেকে ২০১৯ সালের অগস্ট পর্যন্ত সেই সংখ্যাটা ছিল যথাক্রমে ৪০৬ এবং ১৭৭ জন।