Kanpur: পাশবিক! নামতা না পারায় ছাত্রকে ড্রিল মেশিন দিয়ে শাস্তি শিক্ষকের

এ যেন লঘু পাপে গুরু দণ্ড। নামটা না পারায় ছাত্রকে ড্রিল মেশিন দিয়ে শাস্তি শিক্ষকের। কানপুরের(kanpur) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এনেছেন পঞ্চম শ্রেণীর এক…

এ যেন লঘু পাপে গুরু দণ্ড। নামটা না পারায় ছাত্রকে ড্রিল মেশিন দিয়ে শাস্তি শিক্ষকের। কানপুরের(kanpur) এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এনেছেন পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রের পরিবারের লোকজন। বৃহস্পতিবার স্কুলে ক্লাস চলাকালীন নামতা মুখস্ত না বলতে পারায় পঞ্চম শ্রেণীর ওই নাবালক ছাত্রের হাতে ড্রিল মেশিন ব্যবহার করে শাস্তি দিলেন শিক্ষক। ছাত্রের প্রতি শিক্ষকের এই নৃশংস আচরণ ঘিরে পড়ে গিয়েছে শোরগোল।

কানপুর উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় মডেল প্রেম নগরে এ ঘটনাটি ঘটেছে। পঞ্চম শ্রেণীর ওই ছাত্রের নাম ভিভান। ওই ছাত্র ও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছে, অনুজ নামে এক শিক্ষক তাদের ক্লাস নিতে এসেছিলেন। নামটা না বলতে পারে ঐ শিক্ষক ড্রিল মেশিন দিয়ে তাকে শাস্তি দিতে শুরু করে। ওই সময় পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরও এক ছাত্র কৃষ্ণ ড্রিল মেশিনের প্লাগ খুলে দেয়। একটুর জন্য রক্ষা পেয়ে যায় অনুজ। তবে বাম হাতে গুরুতর আঘাত পায় সে।

   

তারপর আহত ওই পড়ুয়াকে সামান্য প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে স্কুল থেকে বাড়ি পাঠানো হয়। কিন্তু ওই স্কুলেরই শিক্ষিকা অলকা ত্রিপাঠি এই বিষয় সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কিছু জানাননি, এমনকি পর্যাপ্ত চিকিৎসা না করেই ওই ছাত্রকে বাড়িয়ে পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে ছাত্র পরিবারের তরফ থেকে।

 বাড়ি গিয়ে ছাত্রের হাতে আঘাতের চিহ্ন দেখে অভিভাবকরা শুক্রবার বিদ্যালয়ে এসে বিক্ষোভ দেখান। ছাত্র পরিবারের তরফ থেকে অভিযোগ জানানো হলে তখন বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। ঘটনার অভিযোগ পেয়ে বিএসএ সুরজিৎ কুমার সিং ওই স্কুলে পৌঁছান এবং বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেন। ইতি মোদী স্কুল থেকেও শিক্ষকের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে । এর পাশাপাশি এরূপ নৃশংস আচরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং রিপোর্টের ভিত্তিতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএসএ সুরজিৎ কুমার সিং।