Tripura: সাংবাদিককে লকআপে রেখে আমানুষিক নির্যাতন, ত্রিপুরা পুলিশ কার্যালয় ঘেরাও

থানার লকআপে ঢুকিয়ে সাংবাদিককে হেনস্তা ত্রিপুরা (Tripura) পুলিশের। অভিযোগ অমানুষিক নির্যাতন করার। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় ফের সাংবাদিকতা আক্রান্তের অভিযোগে রাজনৈতিক মহল সরগরম। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব…

থানার লকআপে ঢুকিয়ে সাংবাদিককে হেনস্তা ত্রিপুরা (Tripura) পুলিশের। অভিযোগ অমানুষিক নির্যাতন করার। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় ফের সাংবাদিকতা আক্রান্তের অভিযোগে রাজনৈতিক মহল সরগরম।

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সময়ে পরপর সাংবাদিকদের উপর হামলা, সাংবাদিক মৃত্যুর ঘটনা, সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলের দফতরে হামলা হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী বদল করেও একই ছবি থাকল। সদ্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়া ডা. মানিক সাহা দায়িত্ব নেওয়ার পর এক সাংবাদিককে থানায় ঢুকিয়ে নির্যাতনের জেরে বিতর্ক চরমে।

অভিযোগ, আগরতলার পূর্ব থানায় কলেজটিলা ফাঁড়ির ওসি অরিন্দম রায়ের নেতৃত্বে সাংবাদিক নিতাই দে কে মারধর করা হয়। বিনা অভিযোগে তাকে থানার লকআপে বন্দি করে মারধরের জেরে সরকার বিতর্কে।

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে আগরতলার রাধানগর পেট্রোল পাম্প চত্বর থেকে সাংবাদিক নিতাই দে কে আটক করা হয়। এরপর থানায় এনে রাতভর নির্যাতন করা হয়েছে।

কী কারণে ওই সাংবাদিককে আটক করা হলো তার কোনও সদুত্তর নেই। পুলিশ নীরব। এদিকে আগরতলা প্রেসক্লাব প্রতিবাদে সামিল। আগরতলায় পুলিশ সদর দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাংবাদিকরা।

বিজেপির শাসনে এর আগে ত্রিপুরা থেকে সাংবাদিক নির্যাতন ও খুনের ঘটনায় দেশ আলোড়িত হয়েছে। দিল্লিতে এডিটরস গিল্ড প্রতিবাদ দেখিয়েছে। আগরতলায় ত্রিপুরার সাংবাদিকরা প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন।

বিরোধী দল সিপিআইএমের দাবি, রাজ্যে আইনের শাসন গত ২০১৮ সালে পরিবর্তনের পর থেকেই নেই। তার প্রমাণ সাংবাদিকরা বারবার রক্তাক্ত ও আক্রান্ত হয়েছেন, এখনও হচ্ছেন। রাজ্যবাসী আগামী ভোটে বিজেপির বিদায় নিশ্চিত করতে তৈরি।

ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সাংবাদিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।