কাশ্মীরে ২ বিহারী শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করল পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গিরা

নিউজ ডেস্ক, শ্রীনগর: গোয়েন্দা বাহিনী কয়েকদিন আগেই এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছিল, কাশ্মীরে সাধারণ মানুষ ও অকাশ্মীরিদের নিশানা করছে জঙ্গিরা। সেই সতর্কবার্তা মিলিয়ে দিয়ে মাত্র ১০ দিনের…

militants shot dead two Bihari workers in Kashmir

নিউজ ডেস্ক, শ্রীনগর: গোয়েন্দা বাহিনী কয়েকদিন আগেই এক সতর্কবার্তায় জানিয়েছিল, কাশ্মীরে সাধারণ মানুষ ও অকাশ্মীরিদের নিশানা করছে জঙ্গিরা। সেই সতর্কবার্তা মিলিয়ে দিয়ে মাত্র ১০ দিনের মধ্যে কাশ্মীরে ১১ জন নিরীহ মানুষকে খুন করল জঙ্গিরা।

শুধু তাই নয়, জঙ্গিদের হাতে খুন হওয়াদের মধ্যে বেশিরভাগই ভিন রাজ্য থেকে কাশ্মীরে এসেছিলেন। রবিবার সন্ধ্যায় কুলগামের ওয়ানপোহ এলাকায় আচমকাই ভিন রাজ্যের কয়েকজন শ্রমিককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গিদের গুলিতে ঘটনাস্থলেই দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। একজন গুরুতর জখম হয়েছেন। হতাহতেরা সকলেই বিহারের বাসিন্দা।

এর আগে শুক্রবার শ্রীনগরে এক বিহারী ফুচকা বিক্রেতাকে গুলি করে মেরে ছিল জঙ্গিরা। পাশাপাশি পুলওয়ামায় উত্তরপ্রদেশের এক কাঠমিস্ত্রিও জঙ্গিদের হাতে খুন হয়। এ দিনের ঘটনার পর এক বিশাল পুলিশবাহিনী ও সেনা ঘটনাস্থলে গিয়েছে। গোটা এলাকা কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। জঙ্গিদের খোঁজে শুরু হয়েছে চিরুনি তল্লাশি।

ঘটনার জেরে ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের জন্য বিশেষ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কাশ্মীর পুলিশ। উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় থাকা শ্রমিকদের অবিলম্বে সেনা ছাউনি, সিআরপিএফ ক্যাম্প বা স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে শ্রমিকদের স্থানীয় থানা বা সেনা শিবিরে থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে কাশ্মীরে ‘হরকত ৩১৩’ নামে এক নতুন জঙ্গি গোষ্ঠীর উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছে। কাশ্মীরে নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এই জঙ্গিগোষ্ঠী, এমনটাই দাবি গোয়েন্দাবাহিনীর। গত কয়েকদিন ধরে কাশ্মীরে নিরীহ মানুষ খুনের ঘটনায় জড়িত রয়েছে হরকত ৩১৩। এই জঙ্গিগোষ্ঠীকে সরাসরি হাক্কানী গোষ্ঠীর সদরদফতর মিরানশাহ থেকে পরিচালনা করা হয় বলে গোয়েন্দাদের ধারণা। এই জঙ্গিগোষ্ঠীর উপর বিশেষ প্রভাব রয়েছে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ইলিয়াস কাশ্মীরির।

পাশাপাশি এই জঙ্গিগোষ্ঠীর পিছনে পুরোদস্তুর মত রয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের। তবে আইএসআই সরাসরি নয়, তালিবানের মাধ্যমে হরকত ৩১৩ জঙ্গিগোষ্ঠীকে সব ধরনের মদত জুগিয়ে চলেছে। তাদের মূল লক্ষ্য হল কাশ্মীর-সহ গোটা ভারতে হরকতকে- ৩১৩ কে দিয়ে নাশকতা চালানো। এর মূল উদ্দেশ্য হল, ভারতীয় সেনাদের বিভিন্ন জায়গায় ব্যস্ত রেখে সেই সুযোগে লস্কর জঙ্গিদের ভারতে ঢুকিয়ে দেওয়া।