SSC Scam: সিবিআই জেরার মুখে পার্থ-পরেশ, দল পাশে থাকবে না বার্তা কুণালের

বিপদে পাশে নেই মমতা বার্তা পেলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী  পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। বার্তা এলো কুণাল ঘোষের তরফে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC…

বিপদে পাশে নেই মমতা বার্তা পেলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী  পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী। বার্তা এলো কুণাল ঘোষের তরফে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) সিবিআই জেরার মুখে পড়ছেন পার্থ ও পরেশ। 

তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, কোনও ব্যক্তি বা কারোর কাজে যদি ছাত্রছাত্রীদের ক্ষতি হয়ে থাকে, তাহলে আইন আইনের পথে চলবে। এর জন্য দল এবং সরকারকে দায়ী করা চলবে না।  তাঁর মন্তব্য থেকে ইঙ্গিত সিবিআই জেরার মুখে পড়া প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর উপর থেকে হাত তুলে নিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

   

পার্থ ও পরেশ কে সিবিআই হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এতে চরম বিব্রত তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মন্তব্য দল দায়ি নয় ঘিরে জল্পনা বাড়ল। মনে করা হচ্ছে দুই অভিযুক্তর সঙ্গে দূরত্ব রাখবে টিএমসি।

তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক বলেছেন, রাজ্যের সব ধরনের মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলছেন যদি কোনও ভুল হয়ে থাকে তা খুবই কম। ০.০১ শতাংশ ভুল করা হলেও ক্ষমা করা হবে না। কোনও কাজের জন্য মুষ্টিমেয় সাধারণ মানুষের জন্য ক্ষতি হয়ে থাকে, দল সেই কাজকে সমর্থন করবে না।

বুধবারই এসএসসির গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি সহ ৭ টি মামলায় সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়কেই মান্যতা দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি আনন্দকুমার মুখ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে সিঙ্গেল বেঞ্চ সীমা অতিক্রম করছে না। এরপরেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবিষয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, আদালত যাঁদের নাম উচ্চারণ করছে, তাঁদের যা যা বক্তব্য কিংবা আইনি প্রক্রিয়া তাঁরা নিজেদের মতো) নিতে পারবে। তবে ভুল কাজকে দল সমর্থন করবে না।

কুণাল ঘোষের কথায়, এখন এই বিষয়টি সম্পূর্ণ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। ওনার বক্তব্য না জেনে আমি কিছু বলব না। তবে কোথাও ভুল থাকলে সেটা ভুলই। এখন কে মন্ত্রী থাকবে আর কে থাকবে না সেটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই ঠিক করবেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এটি আদালতের সঙ্গে কোনও তরজার বিষয় নয়। তদন্তে সত্যি বেরিয়ে আসবে। তবে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনওরকমে নেতিবাচক ধারণা করা নেওয়া ঠিক নয়। সব প্রতিষ্ঠানেই ভালো কাজ হচ্ছে। তবে একটা ভুল হলেও সেটা ভুল।

এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি ত্রিপুরা সরকারের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় ১০৩২৩ জন শিক্ষককে পথে বসানো হয়েছে সেটা ওদের সিস্টেমে ভুল। তবে গোটা সিস্টেম ভুল বলাটা ঠিক নয়।