আইএনএস ভাগিরকে (INS Vagir) ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটি প্রজেক্ট ৭৫ এর অধীনে কালভারী শ্রেণীর পঞ্চম সাবমেরিন, যা ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মুম্বইয়ের নেভাল ডকইয়ার্ডে নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমারের উপস্থিতিতে আইএনএস ভাগিরকে নৌবাহিনীতে কমিশন দেওয়া হয়েছে।
নৌবাহিনী জানিয়েছে যে আইএনএস ভাগির বিশ্বের সেরা সেন্সর এবং টর্পেডো এবং সারফেস টু সারফেস মিসাইল দিয়ে সজ্জিত। সাবমেরিনটিতে বিশেষ অভিযানের জন্য মেরিন কমান্ডোদের লঞ্চ করার ক্ষমতাও রয়েছে। ভারত মহাসাগরে চিনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির মধ্যে আইএনএস ভাগিরকে ভারতীয় নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
INS Vagir সম্পূর্ণরূপে ভারতে নির্মিত। এটি ফরাসি কোম্পানি নেভাল গ্রুপের সহযোগিতায় মুম্বাইয়ের মাজাগন ডক শিপবিল্ডার্স লিমিটেড দ্বারা নির্মিত হয়েছে। এই সাবমেরিনের বিশেষত্ব হল এই সাবমেরিনটি সাবমেরিন বিরোধী যুদ্ধ, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, সমুদ্রে ল্যান্ডমাইন বিছানো এবং নজরদারি কাজে ব্যবহার করা যাবে। এই সাবমেরিন উপকূল এবং সমুদ্রের মাঝখানে উভয় জায়গায় মোতায়েন করা যেতে পারে। এই সাবমেরিনের ট্রায়াল করা হয়েছে।
INS Vagir একটি ডিজেল বৈদ্যুতিক শ্রেণীর সাবমেরিন, সমুদ্রে ঘণ্টায় ৩৭ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে। এই সাবমেরিনটি সমুদ্রের পৃষ্ঠে একবারে ১২ হাজার কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে, তারপর এটি সমুদ্রের অভ্যন্তরে একবারে এক হাজার কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে। INS Vagir সমুদ্রের সর্বোচ্চ ৩৫০ মিটার গভীরে যেতে পারে এবং ৫০দিন একটানা সমুদ্রের নিচে থাকতে পারে।
INS Vagir-এর বিশেষ বিষয় হল যে এটি খুব নীরবে তার মিশন সম্পাদন করে, তাই এটিকে নীরব ঘাতক বলা হচ্ছে। এটি সাবমেরিন স্টিলথ প্রযুক্তিতে সজ্জিত, যার কারণে রাডারও এটি সহজে ধরতে পারে না। এই সাবমেরিনে ৫৩৩ মিলিমিটারের ৮টি টর্পেডো টিউব রয়েছে, যাতে ক্ষেপণাস্ত্র লোড করা যায়। এই সাবমেরিনটি সমুদ্রে ল্যান্ডমাইন বিছানোর জন্যও কাজ করতে পারে, যার কারণে এটি শত্রুদের অনেক ক্ষতি করতে পারে। এর গুণাগুণ দেখে এর নাম দেওয়া হয়েছে স্যান্ড শার্ক। ভারত মহাসাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এই সাবমেরিন গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হতে পারে।