COVID-19: ২৩০ দিন বাদে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার পার

করোনাভাইরাস (COVID-19) আবারও আতঙ্কিত হতে শুরু করেছে। মানুষ আশঙ্কা করতে শুরু করেছে যে পরিস্থিতি দ্বিতীয় তরঙ্গের মতো হতে পারে কারণ তখন হাসপাতালের পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল এবং অক্সিজেন গ্যাস এবং ওষুধের জন্য মারাত্মক লড়াই হয়েছিল এবং লক্ষাধিক লোক প্রাণ হারায়।

India COVID-19 Cases Surge

করোনাভাইরাস (COVID-19) আবারও আতঙ্কিত হতে শুরু করেছে। মানুষ আশঙ্কা করতে শুরু করেছে যে পরিস্থিতি দ্বিতীয় তরঙ্গের মতো হতে পারে কারণ তখন হাসপাতালের পরিস্থিতি খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল এবং অক্সিজেন গ্যাস এবং ওষুধের জন্য মারাত্মক লড়াই হয়েছিল এবং লক্ষাধিক লোক প্রাণ হারায়।

এখন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে যে করোনা আগামী ১০ দিনের মধ্যে সর্বনাশ করতে চলেছে। বিষয়গুলি দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। তবে এটি স্বস্তির বিষয় যে ১০ দিন পরে কোভিড -১৯ এর কেস কমতে দেখা যায়। একইসঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে।

   

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সূত্র বলছে, যদিও সংক্রমণ কয়েক মাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে, কিন্তু সংক্রমণ এখন মহামারী পর্যায়ে, যা একটি নির্দিষ্ট এলাকায় সীমাবদ্ধ রয়েছে। যদি আমরা একটি মহামারী সম্পর্কে কথা বলি, তাহলে সংক্রমণটি একটি বিশাল এলাকা জুড়ে বা বিশ্বে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে।

দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনার ১০ হাজার ১৫৮টি মামলা নথিভুক্ত হয়েছে, যা গত সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই পরিসংখ্যান স্বাস্থ্য মন্ত্রক প্রকাশ করেছে, যা ভয় দেখাতে শুরু করেছে। সংক্রমণের হার ক্রমাগত বাড়ছে, তবে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির ঘটনা খুব কম। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, করোনার নতুন XBB.1.16 ভেরিয়েন্টের কারণে কেস বাড়ছে, তবে চিন্তার কিছু নেই এবং ভাইরাসের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কার্যকর।

জানা গেছে, Omicron এর সাবভেরিয়েন্ট XBB.1.16 এর বিস্তার দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, ফেব্রুয়ারিতে এর বিস্তার ছিল ২১.৬%, যা মার্চ মাসে ৩৫.৮% এ পৌঁছেছে। তবে হাসপাতালে ভর্তি বা রোগীর মৃত্যুর কোনো ঘটনা ঘটেনি। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত ১০ এপ্রিল দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে সুযোগ-সুবিধার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মক ড্রিল করা হয়। এই সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে পৌঁছে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। এখানে মক ড্রিলও করা হয়েছিল।