Narendra Modi : মোদীর উদাসীনতায় কয়লা সঙ্কটে বাতিল ১১০০ ট্রেন পর্যটনে বিরাট ধাক্কা

এক সমস্যা মেটাতে গিয়ে আর এক সমস্যাকে টেনে আনছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) সরকার এমনই অভিযোগ। বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন রাজ্যে চলছে ভয়াবহ কয়লা…

এক সমস্যা মেটাতে গিয়ে আর এক সমস্যাকে টেনে আনছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) সরকার এমনই অভিযোগ। বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন রাজ্যে চলছে ভয়াবহ কয়লা সঙ্কট। রাজ্যে রাজ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সমস্যা বেড়েই চলেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত কয়লা পৌঁছে দিতে ২৪ মে পর্যন্ত ১১০০ যাত্রীবাহী টেন বাতিল করল রেল মন্ত্রক।রেল মন্ত্রক জানিয়েছে বাতিল হয়েছে ৫০০টি মেল-এক্সপ্রেস এবং ৫৮০টি প্যাসেঞ্জার ট্রেন।

অভিযোগ এতগুলি ট্রেন বাতিল হওয়ার ফলে সাধারণ যাত্রীরা কতটা বিপাকে পড়বেন সে কথা ভাবার প্রয়োজন মনে করল না কেন্দ্রের মোদী সরকার।

ট্রেন বাতিলের ফলে তীব্র সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। অনেকেরই বুকিং বাতিল হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় সব রাজ্যে শুরু হয়েছে গ্রীষ্মের ছুটি। অভিভাবকরা অনেকেই এই ছুটিতে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে শীতের দেশে কয়েক দিনের জন্য ঘুরতে যান। তাই দূরপাল্লার ট্রেনে বিপুল চাহিদা রয়েছে টিকিটের। একের পর এক ট্রেন বাতিল হওয়ায় পর্যটকদের মাথায় হাত। তবে শুধু পর্যটকদের সমস্যাই নয়, রেল মন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের ফলে পর্যটন ব্যবসাও বড় মাপের ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নরেন্দ্র মোদী সরকারের ব্যর্থতার কারণেই কয়লার এই সঙ্কট। সরকার আগেই জানত যে, গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে। ফলে বাড়বে কয়লার চাহিদা। বিষয়টি মাথায় রেখে সরকার আগে থাকতেই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লার সরবরাহ বাড়াতে পারত। কিন্তু সে পথে হাঁটেনি মোদী সরকার। বলা যায়, এই সঙ্কট কার্যত সরকারের নীতিহীনতার ফল।

তবে বিপুল সংখ্যক যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিল করেও পরিস্থিতি কতটা সামাল দেওয়া যাবে তা স্পষ্ট নয়। কারণ দেশের বহু খনিতে বিভিন্ন কারণে ধর্মঘট চলছে। ফলে কয়লার উৎপাদনে ঘাটতি রয়েছে। তাই জোগান স্বাভাবিক হচ্ছে না। যে কারণে মালগাড়িতে ওয়াগানের সংখ্যা বাড়িয়েও বিশেষ লাভ কিছু হচ্ছে না। ফলে দেশজুড়ে কয়লার সঙ্কট ক্রমশই বাড়ছে।

ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ ও কয়লার সঙ্কট নিয়ে রেলমন্ত্রক, কয়লামন্ত্রক ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। গরম যত বাড়বে ততই বাড়বে বিদ্যুতের চাহিদা। কিন্তু কয়লার অভাবে বিদ্যুতের বাড়তি চাহিদা পূরণ করা কখনওই সম্ভব নয়। অতি দ্রুত পর্যাপ্ত কয়লার জোগান নিশ্চিত করা না গেলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট থেকে বাঁচার কোনও উপায় নেই।

উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ ভারতের বহু রাজ্য ইতিমধ্যেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে।