বিজেপি শাসিত কর্নাটকে শ্রীলংকার মতো কাগজের অভাব, বন্ধ পাঠ্যবই ছাপানো

বিজেপি শাসিত কর্নাটকে ভয়াবহ কাগজের আকাল দেখা দিয়েছে। কাগজের এতটাই অভাব যে, সে রাজ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠ্যবই ছাপান বন্ধ। অভিযোগ, সরকারকে জানানো হলেও তারা তাতে…

বিজেপি শাসিত কর্নাটকে ভয়াবহ কাগজের আকাল দেখা দিয়েছে। কাগজের এতটাই অভাব যে, সে রাজ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য পাঠ্যবই ছাপান বন্ধ। অভিযোগ, সরকারকে জানানো হলেও তারা তাতে গুরুত্ব দেয়নি।

বিরোধী কংগ্রেসের অভিযোগ, এ ঘটনাতেই প্রমাণ হয়, রাজ্যের শিক্ষা ও পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে কতটা আন্তরিক এসআর বোম্বাই সরকার।

কর্নাটকে শুধু কাগজ নয়, কালি ও বই ছাপানোর জন্য প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাঁচামালেরও অভাব দেখা দিয়েছে।

কর্নাটকের পাঠ্যবই প্রকাশনা সংস্থার সভাপতি বিআর সত্যকুমার জানিয়েছেন, সম্প্রতি রাজ্যে কাগজের দাম প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে। প্রতি টন কাগজ কিনতে আগে ৬০ হাজার টাকা লাগত। এখন সেই দাম বেড়ে হয়েছে ৯০ হাজার টাকা। এই বিপুল পরিমাণ দাম দিয়ে কাগজ কিনে পাঠ্যবই প্রকাশ করা সম্ভব নয়। কাগজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণে গত কয়েকদিন ধরেই কর্নাটকের বেশিরভাগ ছাপাখানা সঙ্কটের মধ্যে পড়েছিল। মজুত থাকা কাগজ দিয়ে কিছু বই ছাপান হয়েছে। কিন্তু কাগজ ফুরিয়ে যেতেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ। বিষয়টি তাঁরা আগেই শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষা মন্ত্রকের পদস্থ আধিকারিকদের জানিয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে সব জেনেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

অভিযোগ, পাঠ্যবই ছাপান বন্ধ থাকলে রাজ্যের পড়ুয়ারা চরম সঙ্কটে পড়বে। কিন্তু পড়ুয়াদের এই সঙ্কটের কথা আগাম জানানো সত্ত্বেও বিজেপি সরকার নীরব দর্শক হয়ে বসে আছে।

সত্যকুমার আরও জানিয়েছেন, রাজ্যের ২১ টি প্রকাশনা সংস্থা স্কুল-কলেজের বই প্রকাশ করে। চলতি শিক্ষাবর্ষে পাঠ্যবইয়ের ৬০ শতাংশ ছাপানো হয়ে গিয়েছে। প্রায় ৪০ শতাংশ বই ছাপান এখনও বাকি আছে। তবে নতুন করে কাগজ, কালি পাওয়া না গেলে বাকি বই ছাপানোর কাজ শুরু করা যাবে না। সরকার যদি বিষয়টি নিয়ে অবিলম্বে পদক্ষেপ না করে তাহলে পড়ুয়াদের সঙ্কট আরও বাড়বে।