Sikkim: হেলিকপ্টারের সাহায্যে ৪০০ পর্যটককে উদ্ধার বায়ুসেনার

উত্তর সিকিমে বিপর্যয়। জলের তোড়ে ভেসে গেছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। হড়পা বানে ভেসে গেছে অন্তত ১৪টি সেতু। বিভিন্ন এলাকায় অনেকগুলি রাস্তাও ধসে গেছে। এই…

উত্তর সিকিমে বিপর্যয়। জলের তোড়ে ভেসে গেছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। হড়পা বানে ভেসে গেছে অন্তত ১৪টি সেতু। বিভিন্ন এলাকায় অনেকগুলি রাস্তাও ধসে গেছে। এই অবস্থায় শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক পর্যন্ত চালু করা হয়েছে বিকল্প রাস্তা। লাচুং, চুংথাম থেকে পর্যটকদের দ্রুত উদ্ধার করার জন্য কপ্টার নামিয়েছে বায়ুসেনা। উত্তর সিকিমের লাচুংয়ের আকাশে চিনুক এবং এমআই-১৭র মতো অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার ঘুরছে। অন্তত ৪০০ পর্যটককে উদ্ধার করে গ্যাংটকে নিয়ে আসা হয়েছে।

তিস্তার হড়পা বান তছনছ করে দিয়েছে উত্তর সিকিমে। খারাপ আবহাওয়ার জন্য আটকে পড়া পর্যটকদের এতদিন উদ্ধার করা যাচ্ছিল না। সোমবার সকাল থেকে লাচেন ও লাচুংয়ে আটকে পড়া পর্যটকদের হেলিকপ্টারে উদ্ধার করা শুরু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ শতাধিক। অন্তত ৫০টি গ্রাম ও শহরে মারাত্মক প্রভাব পড়েছে। অন্তত ৩০ হাজার মানুষ ক্ষতির মুখে পড়েছেন। চুংথাং গ্রামে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে এনডিআরএফ। সেখানে পৌঁছেছে ইন্দো টিবেটিয়ান বর্ডারের জওয়ানারা। এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে বাঁধা হয়েছিল মোটা দড়ি। সেই দড়ি বেয়েই এদিন চুংথাংয়ে পৌঁছে যান আইটিবিপির জওয়ানরা। একে একে উদ্ধার করেন ৫৬ জনকে। তাদের মধ্যে চারজন মহিলা। পুরুষ ৫২ জন। চুংথাং জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের টানেলে আটকে পড়েছিলেন অনেকে। সেখান থেকেও উদ্ধার করা হয়েছে ৬ জনকে।

নিশ্চিহ্ন চুংথাং গ্রামে তিস্তা প্রায় সবই ধুলো। এখন বাঁশ কেটে চুংথাং থেকে পেগং পর্যন্ত বাঁশের সাঁকো তৈরির কাজ শুরু করেছেন এলাকার মানুষ। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে সেনা, আইটিবিপি ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। কাঠের গুঁড়ি ফেলে চুংথাংয়ের সঙ্গে যোগাযোগের আরও একটি সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিপর্যয় পরিস্থিতিতে নিয়ে গ্যাংটকের মিন্টোকগ্যাং এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর বাস ভবনে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে। সেখানে সেনার পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান লেফ্টেন্যান্ট জেনারেল রাণাপ্রতাপ কলিতা, বর্ডার রোড অর্গানাইজেশনের ডিরেক্টর সহ পদস্থ কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কীভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যাবে, রাস্তা, সেতুর কী অবস্থা, কীভাবে পুনরায় নির্মাণ করা সম্ভব, তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়। ন্যাশনাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটিও সিকিমের ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত জরুরি বৈঠকও করেছে।