Afghanistan: ক্ষুধার্থ আফগানিস্থানে গম-ওষুধ ও অন্য খাদ্য সামগ্রী পাঠাতে চায় ভারত

নিউজ ডেস্ক: তালিবান আফগানিস্তানের (Afghanistan)ক্ষমতা দখলের মাস দুয়েকের মধ্যেই সে দেশে প্রবল খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। প্রত্যেক তিনজন আফগান মানুষের মধ্যে দুজন মানুষ জানেন না,…

Afghanistan

short-samachar

নিউজ ডেস্ক: তালিবান আফগানিস্তানের (Afghanistan)ক্ষমতা দখলের মাস দুয়েকের মধ্যেই সে দেশে প্রবল খাদ্য সঙ্কট দেখা দিয়েছে। প্রত্যেক তিনজন আফগান মানুষের মধ্যে দুজন মানুষ জানেন না, তাঁরা দু’বেলা পেটপুরে খেতে পাবেন কিনা। খিদের জ্বালায় রাস্তায় শিশুদের ছটফট করতে দেখা গিয়েছে।

   

এই অবস্থায় অনাহারক্লিষ্ট মানুষের মুখে খাদ্য তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। কেন্দ্র আপাতত আফগানিস্তানে ৫০ হাজার মেট্রিকটন গম, জরুরি ওষুধপত্র, শিশুদের জন্য গুঁড়ো দুধ-সহ আরও বেশ কিছু খাদ্য সামগ্রী পাঠাতে চায় আফগানিস্তানে।

কিন্তু আফগানিস্তানে এই সমস্ত খাদ্য সামগ্রী পাঠানোর ক্ষেত্রে কিছুটা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে পাকিস্তানের। ইরানের চাবাহার বন্দর দিয়ে আফগানিস্তানে পণ্য পাঠাতে হলে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হয়। যা সময় এবং খরচ সাপেক্ষ। তাই ভারত আত্তারি-ওয়াঘা সীমান্ত হয়ে পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে এই খাদ্য সামগ্রী কাবুলে পাঠাতে চায়। এখন প্রশ্ন হল, পাকিস্তান কি ভারতকে এই অনুমতি দেবে!

বর্তমানে পাকিস্তান সে দেশের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে পণ্য পাঠানোর জন্য ভারতকে অনুমতি দেয় না। পাকিস্তান যদি সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করে সে ক্ষেত্রে ভারতের কাছে খাদ্যশস্য থাকলেও আফগানিস্তানে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা তৈরি হতে পারে। সমস্যা সমাধানে ভারত ইতিমধ্যেই রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণাপন্ন হয়েছে। আফগানিস্তানে গমের মূল উৎস ভারত। গতবছরও ভারত থেকে আফগানিস্তানের ৭এ হাজার মেট্রিক টন গম গিয়েছিল।

গত সপ্তাহে জি-২০র মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ভাষণে বলেছিলেন, আফগানিস্তানের মানুষের জন্য বিনা বাধায় জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সাহায্য পাঠাতে রাষ্ট্রসঙ্ঘকে উদ্যোগী হতে হবে। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক স্পষ্ট জানিয়েছে, তালিবান সরকারের সঙ্গে যে সম্পর্ক থাকুক না কেন, আফগান মানুষের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।

সেই সম্পর্কের টানেই ভারত আফগানিস্তানে খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী যত শীঘ্র সম্ভব পাঠাতে চায়। রাষ্ট্রসঙ্ঘে দেওয়া ভাষণে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, আফগানিস্তানের প্রতিটি মানুষের কাছেই যাতে মানবিক সাহায্য পৌঁছন যায় সেটা সকলকে দেখতে হবে। ত্রাণ বন্টনের ক্ষেত্রে কোনও রকম বাছবিচার করা চলবে না।

আফগানিস্তানে মানবিক ত্রাণ পাঠানোর ব্যাপারে রাষ্ট্রসঙ্ঘ-সহ আন্তর্জাতিক মহলকে উদ্যোগী হতে হবে। নভেম্বর মাসে দিল্লিতে আফগানিস্তান নিয়ে আলোচনার জন্য এক আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। সেই বৈঠকে মূলত আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা পাঠানোর বিষয়েই আলোচনা হবে। ওই বৈঠকে রাশিয়া, পাকিস্তান, চিনকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।