ভারতের মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে চিনের গুপ্তচর জাহাজ। জিয়াং ইয়াং হং ৩ নামে চিনের এই জাহাজটি এখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জলসীমায় রয়েছে। জাহাজটি মালদ্বীপে পৌঁছানোর কথা। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী মোদীর লাক্ষাদ্বীপ সফরের পরে ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের (India-Maldives) মধ্যে বিতর্ক বেড়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর চিন সফরের পর চিনা জাহাজের মালদ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা ভারতের জন্য যথেষ্ট চাপের বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।
আসলে শ্রীলঙ্কা চিনা গবেষণা জাহাজগুলির প্রবেশের উপর এক বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যার পরে এখন মালদ্বীপের উপর নির্ভরশীল চিন। জিনপিংয়ের দেশ এই মাসের শুরুতে জিয়াং ইয়াং হং ৩-এর কাছে জরিপ পরিচালনার জন্য শ্রীলঙ্কার বন্দরে অবতরণের অনুমতি চেয়েছিল।সোমবার, চিনা কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের উপমন্ত্রী সান হাইয়ান মালেতে মুইজ্জুর সঙ্গে দেখা করেন। তারপরেই মালদ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা হয় এই জাহাজ।
ভারত আগে বন্দরে চিনা গুপ্তচর জাহাজের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে লঙ্কান কর্তৃপক্ষের সাথে বেশ কিছু আপত্তি জানিয়েছিল।গত বছর, ভারত শ্রীলঙ্কার উদ্বেগ সত্ত্বেও, চিনা জাহাজ শি ইয়ান ৬-কে কলম্বো বন্দরে অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
মুইজ্জু ও জিনপিং দেখা করেন
প্রেসিডেন্ট মুইজু সম্প্রতি চিন সফর করেছেন। তিনি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং বেশ কয়েকটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। মালদ্বীপ ও চিন উভয়েই কৌশলগত সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। চিনের সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠতা এমন সময়ে বাড়ছে যখন মালদ্বীপ ভারতকে তার সেনা প্রত্যাহারের জন্য ১৫ মার্চ পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়েছে।
এদিকে মালদ্বীপের সামুদ্রিক সম্পদমন্ত্রী আহমেদ শিয়াম চিনা গুপ্তচর জাহাজ আসার খবর অস্বীকার করেছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই গুপ্তচর জাহাজের মাধ্যমে চিন সাবমেরিন চালানোর পথ প্রস্তুত করছে এবং আগামী রাউন্ডে চিনা সাবমেরিন ভারত মহাসাগরে টহল জোরদার করবে।