দৃশ্য একই- ভারত ও বাংলাদেশে সমানতালে চলছে দুই দেশের পতাকা অবমাননা (Flag Controversy)। ক্ষোভের মূল ইস্যু ধর্ম! বাংলাদেশে হিন্দুরা লাঞ্ছিত ও অত্যাচারিত অভিযোগে সে দেশের জাতীয় পতাকা পোড়ানো হয় কলকাতায়। একইভাবে বাংলাদেশে চলছে ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননা। এক্ষেত্রে ইস্যু ভারতীয় আধিপত্যবাদ।
যাবতীয় বিতর্কের শুরু বাংলাদেশের সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গ্রেফতারের পর থেকে। অভিযুক্ত ব্যক্তির মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন হিন্দু-সনাতনী সংগঠন প্রতিবাদে সামিল হয়। মামলা চলাকালীন চট্টগ্রাম আদালতে হামলায় অভিযুক্ত স্থামীয় ইসকন অনুসারী সদস্যরা। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের কয়েকজন মিলে আদালতেই কুপিয়ে খুন করেছে সরকারি আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে।
এই ঘটনার রেশ ধরে বাংলাদেশ একাধিক ইসলামি সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধ করার হুমকি দেয়। তবে ইসকন বাংলাদেশ শাখা জানিয়েছে, তারা চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের কোনও কর্মকাণ্ডের দায় নেবে না। তবে ইসকনের বিরুদ্ধে ভারতের পক্ষে চরবৃত্তির অভিযোগ প্রবল। তীব্র ভারত বিরোধী মনোভাব। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রবেশদ্বারে ভারতের পতাকা রেখে তার উপর দিয়ে যাতায়াত চলছে। সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল সেই ছবি।
বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের ইস্যু তুলে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সরব হন। তার দল বিজেপি ও হিন্দুত্ববাদী কিছু সংগঠনকে নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী কলকাতার বাংলাদেশ উপদূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেন। সেই বিক্ষোভে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা পোড়ানো হয়। দূতাবাসের নিরাপত্তা বজায় রাখতে ভারত সরকারের কাছে বার্তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
বাংলাদেশ সংলগ্ল আরও এক বাংলাভাষী প্রধান রাজ্য ত্রিপুরাতেও কয়েকটি সংগঠন বিক্ষোভ দেখায়। রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী দূতাবাসের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে ত্রিপুরা সরকার। এ রাজ্যেও বিজেপির শাসন। মু়খ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা জানিয়েছেন, দরকার পড়লে কঠোর অবস্থান নিয়ে ত্রিপুরার দিক থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ করা হবে।
বাংলাদেশ সংলগ্ন রাজ্য অসম। এ রাজ্যটিও বিজেপি শাসিত। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা প্রায় নীরব। কিছু সংগঠন বিক্ষোভ দেখিয়েছে সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায়। বাংলাদেশ লাগোয়া আরও দুটি রাজ্য মেঘালয় ও মিজোপামে তেমন কোনও বিক্ষোভ সংঘটিত হয়নি।