যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ বায়ু সেনা প্রধানের

বর্তমানে ভূ রাজনৈতিক পরিস্থিতি একেবারে বদলে গিয়েছে। যে কোন সময় বায়ু সেনাকে প্রয়োজন হতে পারে। হতে পারে সেটা অল্প কয়েকদিনের জন্য। তাই সম্ভাব্য সব ধরনের…

বর্তমানে ভূ রাজনৈতিক পরিস্থিতি একেবারে বদলে গিয়েছে। যে কোন সময় বায়ু সেনাকে প্রয়োজন হতে পারে। হতে পারে সেটা অল্প কয়েকদিনের জন্য। তাই সম্ভাব্য সব ধরনের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বায়ুসেনাকে সবসময় তৈরি থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করলেন দেশের বায়ুসেনা প্রধান ভিআর চৌধুরী (VR Choudhury)। ওই অনুষ্ঠানে বায়ুসেনা প্রধান স্পষ্ট বলেন, এই মুহূর্তে সীমান্তের দিকে আরও সতর্ক দৃষ্টি দেওয়া প্রয়োজন। ভারত ও ভুটানের সীমান্তবর্তী অত্যন্ত স্পর্শকাতর জায়গা৷ ডোকলাম। সেখানে যে কোন মুহূর্তে অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে। তাই বায়ুসেনাকে আগে থাকতেই প্রস্তুত থাকতে হবে। অনেকেই মনে করছেন, সম্প্রতি ডোকলামে চিনা সেনাদের অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত বিষয়টিকে মাথায় রেখেই এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন বায়ুসেনা প্রধান।

   

বিশেষজ্ঞরা আরও মনে করছেন, বায়ুসেনা প্রধানের এই পরামর্শের পিছনে পাকিস্তান এক বড় কারণ। সম্প্রতি ইসলামাবাদে ক্ষমতার পালাবদল ঘটেছে। নতুন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সে দেশের সেনাবাহিনী এবং গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের হাতের পুতুল। ফলে পাকিস্তানে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে কথাও মাথায় রেখেছেন বায়ুসেনা প্রধান।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম দিকে উপগ্রহ চিত্রে দেখা যায় ভুটানের অভ্যন্তরে দুটি চিনা গ্রাম গড়ে উঠেছে। ডোকলাম থেকে ওই দুটি চিনা গ্রামের দূরত্ব মাত্র ৩০ কিলোমিটার। এর আগেও একাধিকবার সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে লাল ফৌজ। ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে চিনের লাল ফৌজকে হঠাতে দেশের সেনাবাহিনী ও সরকারকে যথেষ্টই মাথা ঘামাতে হয়। ভারতের প্রবল চাপে শেষ পর্যন্ত লালফৌজ ফিরে গেলেও তারা যে কোনও সময় ফের অনুপ্রবেশ করতে পারে। সে কথা মাথায় রেখেই বায়ুসেনাকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এয়ার মার্শাল ভি আর চৌধুরী।