যৌনতায় অক্ষম স্বামী, থানায় স্ত্রী

বিয়ের ১৫ দিন না কাটতেই ভেঙে চুরমার হয়ে গেল সংসার। সেই সঙ্গে ভেঙে গেল নতুন জীবনের রঙীন স্বপ্ন। কারণ স্বামীর মারাত্মক অর্থের লোভ এবন যৌনতায়…

lady

বিয়ের ১৫ দিন না কাটতেই ভেঙে চুরমার হয়ে গেল সংসার। সেই সঙ্গে ভেঙে গেল নতুন জীবনের রঙীন স্বপ্ন। কারণ স্বামীর মারাত্মক অর্থের লোভ এবন যৌনতায় অক্ষমতা। পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে থানায় স্বামি এবং শাশুড়ির নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন স্ত্রী। কৈলাশহরের এই ঘটনা ঘিরে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।

জানা গিয়েছে যে চলতি মাসের ৬ তারিখে উনকোটি জেলার কৈলাশহর দুর্গাপুরের বাসিন্দা সঙ্গীতা রুদ্রপালের(কাল্পনিক নাম) বিয়ে হয়। পাত্র উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর থানা রোডের নতুনপট্টির বাসিন্দা অশোক সরকারের একমাত্র ছেলে অভিজিত সরকার। সম্পূর্ণ সামাজিকভাবেই বিয়ে সম্পন্ন হয় ওই যুগলের। এই বিয়েতে ঘটকের কাজ করেছিলেন প্রদীপ পাল নামক এক ব্যক্তি।

   

নববধূ জানিয়েছেন যে ফুলসজ্জার রাতের তাঁর জীবনে চরম অন্ধকার নেমে আসে। কারণ স্বামী অভিজিৎ সরকার শারীরিক মিলনে অক্ষম। এরও বড় বিষয় হচ্ছে এই অক্ষমতা ঢাকতে প্রতিরাতেই নববধূকে অযথা অকারণে মারধর করতো বলে অভিযোগ। কিন্তু প্রতিবাদের কোন ভাষা ছিল না নববধূর কাছে। আর তাকে এই কাজে সাহায্য করতো অভিযুক্ত স্বামীর মা তুলসী সরকারও বলে অভিযোগ করেছেন নববধূ। শাশুড়ি দিব্যি দিয়ে রেখেছিল যাতে অভিজিতের ওই অক্ষমতার কথা গোপন রাখে সঙ্গীতা।

একসময় অত্যাচারের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং সঙ্গীতাকে বাপের বাড়ি থেকে নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। কিন্তু পেশায় রাজমিস্ত্রি নববধূর পিতা এত টাকা দিতে পারবে না বলায় অত্যাচারের মাত্রা আরো চরম আঁকার ধারণ করে। পরিস্থিতি চরমে উঠলে কৈলাশহরে বাপের বাড়িতে চলে যায় সঙ্গীতা। অবশেষে গত রবিবার ধর্মনগর মহিলা থানায় অভিযুক্ত স্বামী অভিজিৎ সরকার ও তার মা তুলসী সরকার এবং ঘটক প্রদীপ পালের বিরুদ্ধে মামলা করে নির্যাতিতা নববধূ।

ওই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দায়ের করা হয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা। মেয়ের মা অভিযুক্তের কঠোর সাজা এবং বিয়েতে যে অর্থ ব্যয় করেছেন তার সম্পূর্ণ ক্ষতিপূরণ চেয়েছেন। সমগ্র ঘটনার সঙ্গে ঘটল প্রদীপ পাল প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা।