Pension Protest: দিল্লি উত্তাল, পুরনো পেনশন এখন মোদীর টেনশন

পুরনো পেনশন স্কিম পুনর্বহালের দাবিতে রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন সারা দেশের সরকারি কর্মচারীরা। ন্যাশনাল মুভমেন্ট ফর ওল্ড পেনশন স্কিমের (NMOPS)…

পুরনো পেনশন স্কিম পুনর্বহালের দাবিতে রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখালেন সারা দেশের সরকারি কর্মচারীরা। ন্যাশনাল মুভমেন্ট ফর ওল্ড পেনশন স্কিমের (NMOPS) নেতা বিজয় কুমার বন্ধুর দাবি,রাজস্থান, ছত্তিশগড়, ঝাড়খন্ড, পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশ- এই পাঁচটি রাজ্য ইতিমধ্যে ওপিএস বাস্তবায়নের কথা জানানো হয়েছে, তাহলে কেন্দ্র কেন এটি বাস্তবায়ন করতে পারছে না।

এক বিবৃতিতে NMOPS জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার যদি পুরানো পেনশন স্কিম (OPS) পুনরুদ্ধার না করে তবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে এটি পুনরুদ্ধারের দাবিতে তারা “ভোট ফর ওপিএস” নামে একটি প্রচার শুরু করবে। কংগ্রেস নেতা ও হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুদা, আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয় সিং, বহুজন সমাজ পার্টির সাংসদ শ্যাম সিং যাদব সহ বেশ কয়েকজন বিরোধী নেতাও বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিক্ষোভকারীদের সমর্থন করে বলেন, জাতীয় রাজধানীতে সরকারি কর্মচারীদের জন্য পুরানো পেনশন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দিল্লি সরকার ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়েছে।রাজস্থান, ছত্তিশগড়, ঝাড়খন্ড, পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশ- এই পাঁচটি রাজ্য পুরনো পেনশন স্কিমে ফিরে এসেছে।

চলতি বছরের মার্চ মাসে সরকারি কর্মচারীদের জন্য পুরানো পেনশন স্কিম বেছে নেওয়ার জন্য কেন্দ্র একটি বিকল্প নিয়ে আসার পরে এই সমাবেশের আয়োজন করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের ২২ ডিসেম্বরের আগে চাকরির জন্য আবেদন করেছিলেন এবং ২০০৪ সালে কাজে যোগ দিয়েছিলেন, সেইসব কর্মীরা ন্যাশনাল পেনশন স্কিমের আওতায় থাকলেও বিকল্প হিসেবে হিসেবে তারা ওল্ড পেনশন স্কিম বেছে নিতে পারবেন।

সরকার আরও জানিয়েছিল, ওল্ড পেনশন স্কিমের বিকল্পটি শুধুমাত্র সেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্যই উপলব্ধ থাকবেন যারা ২০০৩ সাল বা তার আগে সরকারি চাকরির জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন। কারণ ২০০৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ন্যাশনাল পেনশন স্কিম কার্যকর করা হয়েছিল। তবে ২০০৩ সালে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে আবেদন জানানো কর্মীদের শূন্যপদ পূরণের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল ২০০৩ সালের ২২ ডিসেম্বর।