TMC: দিল্লিতে তৃণমূল ধর্না নিয়ে নীরব মমতা, অভিষেকের হাতে নতুন ‘অস্ত্র’

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে তৃণমূলের(TMC) ‘দিল্লি চলো’ অভিযান। এক দিকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ। অন্যদিকে রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ না পাওয়া। সেই অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। সেই মর্মেই…

কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে তৃণমূলের(TMC) ‘দিল্লি চলো’ অভিযান। এক দিকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ। অন্যদিকে রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ না পাওয়া। সেই অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। সেই মর্মেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাক। রাজ্যের বকেয়া টাকার দাবিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দু’দিনের কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিতে রবিবার বিকেলে কলকাতা থেকে বিমানে দিল্লি পৌঁছে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

কেন্দ্রের কাছে দাবির পক্ষে সঙ্গে নিয়ে গেলেন নতুন ‘অস্ত্র’। শনিবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে বাড়ির দেওয়াল ভেঙে একই পরিবারের তিন শিশুর মৃত্যু ঘটেছে। রবিবার সকালে জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ারই ছাতনায় একই ভাবে মৃত্যু হয়েছে এক বৃদ্ধার। তবে দু’টি পরিবারের কেউই কেন্দ্রের আবাস যোজনার টাকা পাননি। এটাই সামনে এনে অভিষেক তথা তৃণমূলের দাবি, মৃত চারজনই ‘কেন্দ্রীয় বঞ্চনা’র শিকার।

অভিষেক বিমানে তাঁর সঙ্গে করে নিয়ে গেলেন মৃতদের পরিজনদের। বিমানে ওঠার আগে যথেষ্টই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর নিশানায় প্রথম থেকেই রইলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ। ১০০ দিনের কাজ এবং আবাস যোজনা, দু’টি প্রকল্পেই বাংলার পাওনা টাকা আটকে রয়েছে গিরিরাজের মন্ত্রকের হাতে।

বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গিরিরাজ সিংহ দিল্লিতে থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিতদের সঙ্গে দেখা করছেন না। সেখানে তিনি বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দেখা করছেন। গত এপ্রিল মাসে আমরা ২৫-২৬ জন সাংসদ নিয়ে তাঁর কাছে গিয়েছিলাম। তিনি আমাদের সঙ্গে তা-ও দেখা করেননি। আসলে তিনি বঞ্চিত, অবহেলিতদের কথা শুনতে চান না।’’

রাজ্য বিজেপির সভাপতিকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন অভিষেক। তিনি বলেন, “বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলছেন আন্দোলন করতে হবে না। আমরা একটা ফোন করলেই চলে আসবে টাকা। গিরিরাজ সিংহ কার কথায় পরিচালিত হচ্ছেন? নির্লজ্জ ভাবে তিনি বাংলার প্রতি ধারাবাহিক বঞ্চনা চালিয়ে যাচ্ছেন, বাংলার মানুষকে ভাতে মারতে চাইছেন। এত চেষ্টা করেও বাংলার মানুষকে তিনি দমাতে পরেননি।’’

দিল্লির মোদী সরকারকে ইংরেজ শাসকদের সঙ্গে তুলনা করে অভিষেক বলেন, ‘‘১১২ বছর আগে ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে দিল্লির শাসন মানুষ চাক্ষুষ করেছে। বর্তমান শাসকরা সমস্ত লিমিট পার করে দিয়েছে। সর্বশিক্ষা মিশনের টাকা বন্ধ। আবাসের টাকা বন্ধ, ১০০ দিনের টাকা বন্ধ। তাই প্রতিবাদ জরুরি হয়ে উঠেছে।’’ অভিষেকের আরও প্রশ্ন, ‘‘২০ হাজার কোটি টাকায় প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি হবে। আর বাংলার গরিব মানুষ দেড় লক্ষ টাকা বাড়ি তৈরির জন্য পাবে না? বিজেপি সরকার বাংলার মানুষের থেকে ভোট নিয়ে তাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করেছে, অবহেলিত করেছে। মানুষ চালু থাকবে। ভোটের সময় রাজনীতি হোক। কিন্তু যখন আমরা জনপ্রতিনিধি তখন কিন্তু মানুষের পরিষেবাই সবার আগে।’’