Assam: হিন্দুরা অসমে সংখ্যালঘু: মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্য সরকার কোনও ধর্ম বা ভাষা গোষ্ঠীকে সংখ্যালঘুর মর্যাদা দিতে পার- সুপ্রিম কোর্টে হলফনামায় এমনই জানিয়েছে কেন্দ্র। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অসমের (Assam) চিত্র তুলে ধরেছেন…

Assam Chief Minister Himanta Bishwasarma

রাজ্য সরকার কোনও ধর্ম বা ভাষা গোষ্ঠীকে সংখ্যালঘুর মর্যাদা দিতে পার- সুপ্রিম কোর্টে হলফনামায় এমনই জানিয়েছে কেন্দ্র। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই অসমের (Assam) চিত্র তুলে ধরেছেন ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁর রাজ্যে অনেক জেলায় হিন্দুরা সংখ্যালঘু। সেই সঙ্গে তিনি এরও জানিয়েছেন যে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে আর সংখ্যালঘু হিসাবে বিবেচিত হতে পারে না মুসলিমরা।

সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখী হয়ে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “যখন হিন্দুরা রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়, আপনি তাদের সংখ্যালঘু হিসাবে ঘোষণা করতে পারেন। কিন্তু আমি অনুরোধ করতে চাই যে জেলায় যখন হিন্দু সম্প্রদায় সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়, সেই জেলায়, হিন্দুদেরও সংখ্যালঘু ঘোষণা করা উচিত। আসামের এমন অনেক জেলা রয়েছে যেখানে হিন্দুরা সংখ্যালঘুতে হতাশজনক ভাবে সংখ্যালঘু। এমন অনেক জেলা রয়েছে যেখানে হিন্দুদের সংখ্যা পাঁচ হাজারেরও কম।”

অসমের মুসলিম প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, “মুসলিম সম্প্রদায় সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং আসামের বৃহত্তম সম্প্রদায়। এটি কেবল আমার মতামত নয়। এটি পরিসংখ্যান। পরিসংখ্যানগতভাবে, মুসলমানরা আসামের বৃহত্তম সম্প্রদায়।” ২০১৮ সালে অসমের নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। যা নিয়ে হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছেন, “আমরা আগেও বলেছিলাম যে পুরানো নাগরিকপঞ্জি পর্যালোচনা করা উচিত এবং নতুন করে করা উচিত। অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের (এএএসইউ) সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। আমরা চাই রাজ্যে আবার এনআরসি করা হোক।”

শীর্ষ আদালতে পেশ করা হলফনামায় কেন্দ্র জানিয়েছে, লাদাখ, মিজোরাম, লাক্ষাদ্বীপ, কাশ্মীর, নাগাল্যান্ড, মেঘালয়, অরুণাচল প্রদেশ, পঞ্জাব ও মণিপুরে হিন্দুরা সংখ্যালঘু হওয়া সত্ত্বেও নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালাতে পারবেন না, এই যুক্তি ঠিক নয়। কারণ রাজ্যও কোনও প্রতিষ্ঠান বা সম্প্রদায়কে তাদের নিয়ম অনুযায়ী সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা দিতে পারে। ২০১৬ সালে মহারাষ্ট্র ইহুদিদের সংখ্যালঘু মর্যাদা দিয়েছিল। কয়েকটি ভাষিক গোষ্ঠীকে সংখ্যালঘু মর্যাদা দিয়েছে কর্নাটক।