আচমকা হাসপাতাল পরিদর্শনে ডাক্তার ছাঁটাই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর, সমালোচনার ঝড়

গোয়ার স্বাস্থ্য (health-minister) ব্যবস্থায় একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে, যা রাজ্যের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। শনিবার গোয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রানে (health-minister)…

health-minister suspending doctor

গোয়ার স্বাস্থ্য (health-minister) ব্যবস্থায় একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে, যা রাজ্যের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। শনিবার গোয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বজিৎ রানে (health-minister) গোয়া মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতাল (জিএমসিএইচ) প্রাঙ্গণে আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। এই পরিদর্শনের সময় তিনি একজন সিনিয়র ডাক্তারের বিরুদ্ধে রোগীর সঙ্গে অসদাচরণ এবং চিকিৎসা প্রত্যাখ্যানের অভিযোগে তাঁকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন।

তবে, রবিবার মুখ্যমন্ত্রী (health-minister) প্রমোদ সাওয়ান্ত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে ঘোষণা করেন যে, কোনও সাসপেনশন হবে না। এই ঘটনা গোয়ার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবস্থা এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, বিশ্বজিৎ রানে শনিবার বাম্বোলিমে অবস্থিত জিএমসিএইচ-এ আচমকা পরিদর্শনে যান।

   

তিনি তাঁর ফোনে একটি অভিযোগ পান, যাতে দাবি করা হয় যে, একজন সিনিয়র ডাক্তার একজন রোগীকে চিকিৎসা দিতে অস্বীকার করেছেন এবং তাঁর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। অভিযোগটি ছিল একজন প্রবীণ নাগরিকের পরিবারের পক্ষ থেকে, যিনি ব্যথায় ভুগছিলেন এবং তাঁকে নিয়মিত ইনজেকশন দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

অভিযোগে বলা হয়, সরকারি ছুটির দিনে হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা কম থাকা সত্ত্বেও ডাক্তার ইনজেকশন দিতে অস্বীকার করেন এবং রোগীকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এই অভিযোগে ক্ষুব্ধ হয়ে রানে হাসপাতালে প্রবেশ করেন এবং প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা (সিএমও) ড. রুদ্রেশ কুত্তিকরের সঙ্গে তীব্র বাক্যবিনিময়ে জড়ান(health-minister)।

একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, রানে ড. কুত্তিকরকে কঠোর ভাষায় তিরস্কার করছেন। তিনি বলেন, “তুমি তোমার জিভ সামলাও, তুমি একজন ডাক্তার। আমার সামনে দাঁড়ানোর সময় হাত পকেট থেকে বের করো। আমি সাধারণত রাগি না, কিন্তু তুমি রোগীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে।”

তিনি মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট ড. রাজেশ পাটিলকে নির্দেশ দেন, “এই ডাক্তারকে এখনই সাসপেন্ড করো, আমি ফাইলে সই করব(health-minister)।” রানে আরও বলেন, “তুমি গরিবদের সেবা করার জন্য এখানে আছ, নিজের অহংকার দেখানোর জন্য নয়।” এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে এবং বিরোধী দল কংগ্রেস এটি শেয়ার করে রানের আচরণের তীব্র নিন্দা করে।

গোয়া প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি (জিপিসিসি) রানের এই আচরণকে “অহংকার ও তানাশাহির শর্মনাক প্রদর্শন” বলে অভিহিত করেছে। জিপিসিসি সভাপতি অমিত পাটকর রানের মানসিক স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁকে ইনস্টিটিউট অফ সাইকিয়াট্রি অ্যান্ড হিউম্যান বিহেভিয়ারে মানসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানোর দাবি জানান।

Advertisements

কংগ্রেস বলেছে, (health-minister)“ডাক্তাররা মানবতার সেবায় জীবন উৎসর্গ করেন, তাঁদের সম্মান ও মর্যাদার প্রাপ্য। এই ধরনের প্রকাশ্য অপমান অগ্রহণযোগ্য।” ভারতীয় চিকিৎসা সমিতি (আইএমএ) গোয়া শাখাও রানের আচরণের নিন্দা করে ড. কুত্তিকরের পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে।
রবিবার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত এই বিতর্কে হস্তক্ষেপ করেন।

তিনি বলেন, “আমি জিএমসিএইচ-এর ঘটনা পর্যালোচনা করেছি এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর (health-minister) সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমি গোয়ার জনগণকে আশ্বাস দিচ্ছি, ড. রুদ্রেশ কুত্তিকরকে সাসপেন্ড করা হবে না।” তিনি আরও বলেন, “রাজ্য সরকার এবং আমাদের চিকিৎসক দল প্রতিটি নাগরিকের জন্য উচ্চমানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা আমাদের ডাক্তারদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও মূল্যবান সেবার প্রশংসা করি।” সাওয়ান্তের এই পদক্ষেপ বিতর্ক শান্ত করার এবং চিকিৎসক সম্প্রদায়ের প্রতি সরকারের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

রানে সোশ্যাল(health-minister) মিডিয়ায় একটি বিবৃতি জারি করে বলেন, তিনি একজন “অসহায় প্রবীণ মহিলার পক্ষে” হস্তক্ষেপ করেছিলেন। তিনি স্বীকার করেন, “আমার কথার সুর ও শব্দ আরও সংযত হতে পারত। আমি সমালোচনার ঊর্ধ্বে নই।

আমি আমার যোগাযোগের ধরনের জন্য সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিচ্ছি এবং আশ্বাস দিচ্ছি, ভবিষ্যতে এই ধরনের পদ্ধতি পুনরাবৃত্তি হবে না।” তবে তিনি রোগীর অধিকারের পক্ষে কথা বলার জন্য ক্ষমা চাননি। তিনি বলেন, “ডাক্তাররা সমাজে একটি মহৎ অবস্থানে রয়েছেন, কিন্তু যখন দায়িত্বে অহংকার প্রবেশ করে, তখন আমার পদক্ষেপ নেওয়ার দায়িত্ব।”

ভারতীয় পেসারের রেকর্ড ভেঙে ইতিহাস গড়ার হাতছানি অজি অধিনায়কের

জিএমসিএইচ গোয়ার বৃহত্তম সরকারি হাসপাতাল, যেখানে ১,০০০-এর বেশি শয্যা রয়েছে। এটি গোয়ার পাশাপাশি মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকের রোগীদেরও সেবা দেয়। এই ঘটনা গোয়ার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং চিকিৎসক-প্রশাসন সম্পর্কের টানাপোড়েনকে প্রকাশ করেছে। এটি সরকারের জন্য একটি সতর্কবার্তা, যাতে রোগীদের সেবা এবং চিকিৎসকদের মর্যাদা উভয়ই নিশ্চিত করা যায়।