‘ভোলে বাবা’র নিরাপত্তারক্ষীদের ঠেলাঠেলিতেই বিপত্তি! দাবি হাতরসের এসডিএমের

হাতরস সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম) সিকান্দ্রা রাও-ই সৎসঙ্গের অনুমতি দিয়েছিলেন। এই সরকারি আমলারই অভিয়োগ যে, স্বঘোষিত ঈশ্বর নারায়ণ হরি ওরফে ‘ভোলে বাবা’-র ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীরাই বেশ কয়েকজন…

হাতরস সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম) সিকান্দ্রা রাও-ই সৎসঙ্গের অনুমতি দিয়েছিলেন। এই সরকারি আমলারই অভিয়োগ যে, স্বঘোষিত ঈশ্বর নারায়ণ হরি ওরফে ‘ভোলে বাবা’-র ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীরাই বেশ কয়েকজন ভক্তকে ঠেলেঠেলি করেছিল। ফলে বেরনোর জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সেখান থেকেই পদপৃষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিহত হয়েছেন ১২১ জন।

হাতরাস জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে একটি চিঠিতে এসডিএম সিকান্দ্রা রাও দাবি করেছেন য়ে, স্বঘোষিত ঈশ্বর যখন অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে চলে যাচ্ছিল, তখনই তাঁর অনুগামীরা তাঁকে এক ঝলক দেখার জন্য এবং তাঁর পায়ের চারপাশ থেকে মাটি সংগ্রহ করতে ছুটতে শুরু করেছিল। চিঠিতে এসডিএম উল্লেখ করেছেন যে, ‘নারায়ণ হরি সরকার দুপুর সাড়ে ১২টায় অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছেছিলেন এবং অনুষ্ঠানটি এক ঘন্টা ধরে চলেছিল। বাবা যখন অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে চলে গেলেন, তখন লোকেরা তাঁর আশীর্বাদ পেতে তাঁর দিকে ছুটে আসতে শুরু করে। ইতিমধ্যেই প্রচুর সংখ্যক লোক জিটি রোডের ডিভাইডারে দাঁড়িয়ে ছিল। ভক্তরা বাবার দিকে ছুটতে শুরু করে।’

   

হাতরাসের বিজেপি ঘনিষ্ঠ ‘ভোলে বাবা’র চেম্বারে শুধু মেয়েদের এন্ট্রি

বলা হয়েছে যে ধর্মপ্রচারকের কাছে যেতে বাধা দেওয়ার জন্য বহু ভক্তকে ‘ভোলে বাবা’র ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষী বা ‘সেবাদার’রা ধাক্কা দিয়েছিল। সেই ধাক্কায় খেয়ে বেশ কয়েকজন নিচে পড়ে যান, এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, “ঠেলাঠেলি থেকে স্বস্তি পেতে, লোকেরা কাছাকাছি খোলা মাঠের দিকে ছুটে যায় যেখানে বহু লোক একটি ঢালে পিছলে পড়ে। এইসময় তাড়া খেয়ে বাইরে বেরিয়ে আসা ভক্তরা মাটিতে পড়ে থাকাদের উপর দিয়ে দৌড়াতে শুরু করে।’

সাম্প্রতিক বর্ষণে মাঠটি জল ও কচুরিপানায় ভরে গিয়েছে। এসডিএমের দাবি, ওই ঢালেই পদপৃষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে।
অনুষ্ঠানের আয়োজকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলেও এফআইআর-এ অভিযুক্তদের তালিকায় ‘ভোলে বাবা’র নাম নেই। ‘মুখ্য সেবাদার’ দেবপ্রকাশ মধুকর পলাতক।