Gautam Adani: অপরহণ ও জঙ্গি হেফাজত থেকে দু’বার মৃত্যুকে ফাঁকি দিয়ে বেঁচে ফিরেছেন আদানি

হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই বিতর্কের মুখে পড়েছেন বিশ্বের বিখ্যাত শিল্পপতি গৌতম আদানি (Gautam Adani)। গৌতম আদানিও দুবার মৃত্যুকে এড়িয়ে গেছেন। এ

gautam adani

হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই বিতর্কের মুখে পড়েছেন বিশ্বের বিখ্যাত শিল্পপতি গৌতম আদানি (Gautam Adani)। গৌতম আদানিও দুবার মৃত্যুকে এড়িয়ে গেছেন। একবার মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার সময়, দ্বিতীয়বার তাকে জিম্মি করে দুর্বৃত্তরা। এখন তিনি আর্থিক কারসাজিতে ধরা পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে জানুন গৌতম আদানির এই বিতর্ক সম্পর্কিত পুরো ঘটনা। আদানি মৃত্যুকে এড়িয়ে যাওয়ার সময় দুটি ঘটনা দিয়ে শুরু করা যাক

১. অপহরণের পর মুক্তিপণ চেয়েছিল দুর্বৃত্তরা
ঘটনাটি ১৯৯৭ সালের। গৌতম আদানি তখন একজন উদীয়মান উদ্যোক্তা ছিলেন। দেশে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে তার ব্যবসা। একদিন গৌতম আদানিকে অপহরণ করা হয়। তাদের মুক্তি দিতে প্রায় ১১ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।

এ মামলায় পুলিশ ১৯৯৮ সালের ১ জানুয়ারি চার্জশিট দাখিল করে। আদানির সঙ্গে ব্যবসায়ী শান্তিলাল প্যাটেলকেও অপহরণ করা হয়েছে। দুজনেই তাদের গাড়িতে করে কর্ণাবতী ক্লাব ছেড়েছিলেন মোহাম্মদপুরা রোডের দিকে। পথে একটি স্কুটার জোর করে তার গাড়ি থামায়। এরপর একটি ভ্যান থেকে অনেক লোক এসে দুজনকে অপহরণ করে। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় অজানা জায়গায়।

কোনোভাবে অপহরণকারীদের কবল থেকে মুক্তি পান তিনি। আজও আদানি এই বিষয়ে কথা বলতে চায় না। লন্ডনে একবার তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। যা তিনি এড়িয়ে গেছেন। আদানিকে অপহরণের পেছনে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন ফজল উর রহমান ওরফে ফজলু রহমানের হাত ছিল বলে জানা গেছে।

Adani Group goutam adani

২. জঙ্গিরা বন্দি করেছিল আদানিকে
এটি ২০০৮ সালের ঘটনা। এরপর গৌতম আদানিকে বন্দি করে জঙ্গিরা। এটি তাই ঘটেছিল ২৬ নভেম্বর ২০০৮, গৌতম আদানি তাজ হোটেলে ডিনারে গিয়েছিলেন। এসময় সেখানে হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেই সময় মুম্বইয়ের অনেক জায়গায় একযোগে জঙ্গি হামলা হয়।

জঙ্গিরা তাজ হোটেলে নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে। ১৬০ জন মারা গেছে। গৌতম আদানি ওয়েদার ক্রাফট রেস্তোরাঁয় দুবাই বন্দরের সিইও মহম্মদ শরাফের সঙ্গে ডিনার করছিলেন। সেই সঙ্গে হোটেলে গুলি শুরু হয়। আদানি একটি উচ্চতায় বসেছিল, তাই তিনি সবকিছু পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছিলেন। জঙ্গিরা সুইমিং পুল ও লিফটের দিকে অবিরাম গুলি চালাচ্ছিল। একরকম সাহস দেখিয়ে ভেতরে আটকে পড়া লোকজনকে সাহায্য করেন হোটেলের কর্মীরা। একে একে কয়েকজনকে বেসমেন্টে নিয়ে যাওয়া হলো। এতে ছিলেন গৌতম আদানিও। বেসমেন্টে থাকা লোকেরা যখন দমবন্ধ বোধ করে, তখন তাদের এক তলায় তাজ চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এক সাক্ষাৎকারে এই ঘটনার তথ্য জানিয়েছেন আদানি। তিনি জানান, ওই সময় তার সঙ্গে আটকা পড়েছিলেন শতাধিক মানুষ। সবাই বেঁচে থাকার জন্য প্রার্থনা করছিল। আদানি জানিয়েছেন, সেই সময়ে তিনি ফোনে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ ছাড়া হোটেলের বাইরে গাড়িতে থাকা তার ড্রাইভার ও কমান্ডোর সঙ্গেও তিনি ক্রমাগত কথা বলছিলেন। আদানি ২৬ নভেম্বর পুরো রাত হোটেলের চেম্বারে কাটিয়েছেন। পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে নিরাপত্তা বাহিনী তাকে বের করে নিয়ে যায়। ২৭ নভেম্বর তিনি তার ব্যক্তিগত বিমানে আহমেদাবাদের উদ্দেশ্যে রওনা হন। একটি সাক্ষাত্কারে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে আদানি বলেছিলেন, “আমি ১৫ ফুট দূর থেকে মৃত্যু দেখেছি।”