সিধুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তাঁরই প্রবাসী দিদি

এতদিন আর সকলের বিরুদ্ধেই ভুরিভুরি অভিযোগ করে আসছিলেন পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু। এবার সেই সিধুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সিধুর আমেরিকা প্রবাসী…

এতদিন আর সকলের বিরুদ্ধেই ভুরিভুরি অভিযোগ করে আসছিলেন পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নভজ্যোত সিং সিধু। এবার সেই সিধুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সিধুর আমেরিকা প্রবাসী দিদি সুমন তুর।

সুমন বলেছেন, সিধু এতটাই নিষ্ঠুর যে টাকা-পয়সার জন্য তাঁর বয়স্ক মাকেও ছেড়ে দিয়ে চলে গিয়েছিল। মাকে কোনদিন দেখাশুনো করেননি। কয়েকদিন হল আমেরিকা থেকে দেশের বাড়ি চণ্ডীগড়ে ফিরেছেন সুমন। এদিন চণ্ডীগড়ে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানেই সুমন বলেন, ১৯৮৬ সালে তাঁদের বাবা মারা যান। বাবার মৃত্যুর পর তাঁকে এবং তাঁর মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন সিধু। নিতান্তই অবহেলা অনাদরে ১৯৮৯ সালে একটি রেল স্টেশনে মারা গিয়েছিলেন তাঁর মা। পেটপুরে খেতে না পেয়েই তাঁর মা অসুস্থ হয়ে পড়েন। দীর্ঘ চার মাস তাঁকে হাসপাতালে থাকতে হয়। এই দাবির সপক্ষে তাঁর কাছে যথাপোযুক্ত প্রমাণও আছে বলে সুমন জানান।

সুমনের দাবি, পারিবারিক সম্পত্তির জন্যই সিধু মায়ের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন। আমার বাবা মৃত্যুর সময় সামান্য কিছু সম্পত্তি এবং তার পেনশনের টাকা রেখে গিয়েছিলেন। সেই টাকার জন্যই সিধু মাকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তবে আমি ওর থেকে একটা টাকাও প্রত্যাশা করি না। তাঁদের মা-বাবার বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে সিধু এতদিন যে সমস্ত কথা বলেছেন সেগুলি সর্বৈব মিথ্যা বলে সুমন স্পষ্ট জানিয়েছেন।

১৯৮৭ সালে সিধু তাঁর বাবা-মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদের কথা বলেছিলেন। তার প্রতিবাদ জানিয়ে সিধুর মাও আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সুমন এদিন দাবি করেন, সিধু তার মা-বাবার বিবাহবিচ্ছেদের যে কথা বলছেন তার স্বপক্ষে কী প্রমাণ আছে তা প্রকাশ করুক। হঠাৎ করেই সুমন কেন সাংবাদিকদের কাছে মুখ খুললেন এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, ২০ জানুয়ারি তিনি সিধুর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সিধু তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি। এমনকী, তাঁকে বাড়িতেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ফোনও ধরছিলেন না। পরে তাঁর ফোন নম্বরটি ব্লক করে দেন সিধু। সে কারণেই তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন। সুমন চান, তার মায়ের প্রতি সিধু যে বঞ্চনা করেছে তার প্রতিকার হোক।