আম্বানিকে টক্কর দিয়ে শীর্ষে আদানি

শেষ পর্যন্ত মুকেশ আম্বানিকে টপকে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি হিসেবে উঠে এলেন গৌতম আদানি। এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসেও গৌতম আদানি এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি হিসেবে…

শেষ পর্যন্ত মুকেশ আম্বানিকে টপকে এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি হিসেবে উঠে এলেন গৌতম আদানি। এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসেও গৌতম আদানি এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে ছিলেন। জানা গিয়েছে শেষ দু’ বছরে আদানির সম্পদ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৮০৮ শতাংশ। তুলনায় মুকেশ আম্বানির সম্পদের পরিমাণ ২৫০ শতাংশ বেড়েছে।

ফোর্বস পত্রিকার রিয়েলটাইম ডেটা নেটওয়ার্ক পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে বিশ্বের ১১তম ধনী ব্যক্তি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন গৌতম আদানি। গত সপ্তাহে শেয়ার বাজারে বড়সড় পতন ঘটলেও আদানি গোষ্ঠী তাতে খুব একটা ক্ষতির মুখে পড়েনি। জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে গৌতম আদানি সম্পত্তির পরিমাণ ৮৯.৫ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬.৭২ লাখ কোটি টাকা। আদানির তুলনায় মুকেশ আম্বানি অবশ্য খুব একটা পিছিয়ে আছেন তা নয়।

মুকেশ আম্বানির সম্পত্তির পরিমাণ ৮৯.৪ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৬.৭১ লক্ষ কোটি টাকা। এই মুহূর্তে গৌতম আদানি ও মুকেশ আম্বানি এই দুই শিল্পপতির মধ্যে জোর টক্কর চলছে। একে অন্যের ঘাড়ে কার্যত নিঃশ্বাস ফেলছেন। এই মুহূর্তে আদানি এশিয়ার ধনীতম হলেও যে কোনও সময়ই তাঁকে টপকে যেতে পারেন মুকেশ। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তালিকায় তিন থেকে পাঁচ নম্বরে আছেন শিব নাদার, রাধাকৃষ্ণান দামানি এবং লক্ষ্মী মিত্তাল।

উল্লেখ্য,আদানি গোষ্ঠী মূলত গুজরাতের বন্দর সংক্রান্ত শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ছিল। যদিও বর্তমানে তারা বিভিন্ন শিল্পক্ষেত্রে নিজেদের পা রেখেছে। যার মধ্যে ইস্পাত শিল্প অন্যতম। অন্যদিকে মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্স গুজরাতে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে বড় মাপের বিনিয়োগ করতে চলেছে বলে খবর।