আগামী সপ্তাহেই দীপাবলি (Diwali 2024) ও ছট পূজা আসতে চলেছে। আর এই উৎসবের আগে সারা দেশ থেকে বিহারের উদ্দেশ্যে ট্রেনগুলি ইতিমধ্যেই উপচে পড়েছে। চার মাস আগে থেকেই বহু মানুষ তাদের ট্রেনের টিকিট বুক করলেও অনেকেই টিকিট পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিহারের জন্য প্রায় প্রতিটি ট্রেনেই এখন কোনও সিট পাওয়া যাচ্ছে না। তবে, রেলওয়ে থেকে সাম্প্রতিক এক সুখবর ঘোষণা করা হয়েছে; লখনউ থেকে বিহারের ছাপড়া জংশন পর্যন্ত নতুন বন্দে ভারত ট্রেন চালু হয়েছে। যা আপনাকে আপনার নিজ রাজ্যে ফিরতে সহায়ক হবে। এই বিশেষ বন্দে ভারত ট্রেনে এখনও নিশ্চিত টিকিট পাওয়া যাচ্ছে।
ছাপড়া বিহারের উত্তর প্রান্তের একটি গুরুত্বপূর্ণ জংশন। এখান থেকে শিওয়ান, গোপালগঞ্জ, বৈশালী এবং মুজফ্ফরপুরসহ অন্যান্য জেলার সঙ্গে সহজেই যাতায়াত করা যায়। ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ নতুন এই ট্রেনটি চালু করে উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের যাত্রীদের জন্য স্বস্তির ব্যবস্থা করেছে।
ট্রেনের নির্দিষ্ট সময়সূচী ও স্টপেজ:
লখনউ থেকে ছাপড়ার উদ্দেশ্যে বিশেষ এই বন্দে ভারত ট্রেনটি চালু হয়েছে, যার ট্রেন নম্বর ০২২৭০। প্রতিদিন দুপুর ২:১৫-এ লখনউ এনআর স্টেশন থেকে রওনা দিয়ে সন্ধ্যা ৯:৩০-এ ছাপড়া পৌঁছায়। ট্রেনটি সুলতানপুর, বারাণসী, গাজীপুর, বালিয়া এবং সুরেমনপুর হয়ে অবশেষে ছাপড়া পৌঁছাবে। এটি সপ্তাহে ছয় দিন চালু থাকে, শুধুমাত্র মঙ্গলবার কোনও পরিষেবা নেই।
পূর্ব উত্তরপ্রদেশের যাত্রীদের জন্য বিশেষ সুবিধা
এই ট্রেনটি শুধু বিহারের মানুষের জন্য নয়, বরং পূর্ব উত্তরপ্রদেশের বালিয়া ও গাজীপুর অঞ্চলের বাসিন্দাদের জন্যও খুবই কার্যকর। ছট পূজার সময়কালে এই অঞ্চলে পূজার জাঁকজমক পূর্ণ উৎসব পালিত হয়, এবং নতুন এই ট্রেনের মাধ্যমে সহজে যাতায়াতের সুযোগ বাড়বে। আইআরসিটিসি ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ২৭ অক্টোবর থেকে ছট পূজার সময়কালে এই ট্রেনের অনেক টিকিট এখনও পাওয়া যাচ্ছে।
ভাড়া এবং ট্রেনের ক্যাটারিং পরিষেবা:
এই বন্দে ভারত ট্রেনে দুই ধরণের শ্রেণীর সেবা রয়েছে: চেয়ার কার এবং এক্সিকিউটিভ কার। লখনউ থেকে ছাপড়ার জন্য চেয়ার কারের ভাড়া ১৭৮০ টাকা এবং এক্সিকিউটিভ কারের ভাড়া ৩১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ফেরার সময় ছাপড়া থেকে লখনউ পর্যন্ত ভাড়া ১২৮৫ টাকা। ট্রেনের মূল ভাড়া ১১০৫ টাকা হলেও, লখনউ থেকে ছাপড়ার পথে ৫৩০ টাকার ক্যাটারিং চার্জ যুক্ত হয়েছে। তবে, ছাপড়া থেকে লখনউ ফেরার পথে ক্যাটারিং চার্জ মাত্র ৩৫ টাকা, কারণ রাতের যাত্রায় কোনও খাবার সরবরাহ করা হয় না।
দিল্লি থেকে বিহার যাওয়ার যাত্রীদের জন্য সহজ সমাধান
দীপাবলি ও ছট পূজায় দিল্লি থেকে বিহার যাওয়ার সরাসরি ট্রেনগুলির টিকিট অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বুকিং পূর্ণ। ফলে দিল্লি থেকে বিহারে যাওয়ার পরিকল্পনা করা যাত্রীরা লখনউ পর্যন্ত ইউপি সরকারের বাস বা অন্য ট্রেন ব্যবহার করে লখনউ পৌঁছাতে পারেন। তারপর সেখান থেকে বন্দে ভারত বিশেষ ট্রেনটি ধরে সহজেই বিহারে পৌঁছাতে পারবেন। এটি ভিড় এড়িয়ে নিরাপদে এবং সুবিধামত বিহার পৌঁছানোর সহজ উপায়।
নতুন এই বন্দে ভারত ট্রেন পরিষেবাটি লখনউ থেকে ছাপড়া পর্যন্ত ঘন ঘন যাতায়াতকারী মানুষদের জন্য একটি বড় সুবিধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।