এগিয়ে থেকেও পারো এফসির কাছে আটকে গেল মশালবাহিনী

সূচি অনুযায়ী শনিবার এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের (AFC Challenge League) প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। যেখানে প্রথম ম্যাচেই লড়াই করতে হয় ভুটানের শক্তিশালী…

East Bengal Opens Campaign with Draw Against Paro FC

সূচি অনুযায়ী শনিবার এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের (AFC Challenge League) প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ইমামি ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। যেখানে প্রথম ম্যাচেই লড়াই করতে হয় ভুটানের শক্তিশালী ক্লাব পারো এফসির সঙ্গে। সেখানে এগিয়ে থেকে ও আসেনি জয়। পূর্ন সময়ের শেষে ২-২ গোলের অমীমাংসিত ফলাফলে শেষ হল আজকের এই ম্যাচ। এদিন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করেন যথাক্রমে মাদিহ তালাল এবং দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকস। অপরদিকে পারো এফসির হয়ে গোল করেন যথাক্রমে উইলিয়াম ওপিকু এবং ইভান্স আসান্তে। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করার ফলে যথেষ্ট চাপে থাকবে ইস্টবেঙ্গল।

এদিন ম্যাচের শুরুতেই গোল পেয়ে গিয়েছিল অস্কার ব্রুজনের ফুটবল দল । ম্যাচের ৪ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল করে যান ফরাসি মিডফিল্ডার মাদিহ তালাল। স্প্যানিশ তারকা সাউল ক্রেসপোর দুরন্ত ক্রস থেকে বল টেনে নিয়ে গোল করে যান লাল-হলুদের মাঝমাঠের এই স্তম্ভ। যারফলে ১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু সেটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রতি আক্রমণে উঠে এসে পেনাল্টি আদায় করে প্রতিপক্ষ ফুটবল দল। সেখান থেকেই গোল করে যান ওপিকু। তারপর থেকেই যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী থাকতে দেখা যায় পারো ফুটবলারদের।

   

সময়ের সাথে সাথেই আক্রমণের তেজ বাড়াতে থাকে প্রতিপক্ষ দল। অপরদিকে ব্যবধান বাড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। তারপর প্রথমার্ধের একদম শেষ লগ্নে ব্যবধান বাড়ানোর লক্ষ্যে পারোর অর্ধে উঠে যায় লাল-হলুদ ফুটবলাররা। সেই সুযোগ নিয়েই প্রতি আক্রমণে উঠে আসেন ইভান। তাঁকে আটকানো কার্যত অসম্ভব ছিল ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডারদের। যারফলে অনায়াসেই গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে যান তিনি। প্রথমার্ধের শেষে ২-১ গোলে ব্যবধান এগিয়ে যায় ভুটানের এই শক্তিশালী ফুটবল ক্লাব।

তারপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই ঘনঘন আক্রমণ শানাতে শুরু করেন সাউল ক্রেসপো থেকে শুরু করে নন্দকুমার সেকাররা। কিন্তু সেটা কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি। যার খেসারত দিতে হয়েছে এই ম্যাচে‌‌। এমনি ভারতীয় ডিফেন্ডার আনোয়ার আলির কাছে গোলের সুযোগ আসলেও তিনি সেটার সৎ ব্যবহার করতে পারেননি। নাহলে অনেক আগেই সমতায় ফিরতে পারত ইস্টবেঙ্গল। তারপর ৬৯ মিনিটের মাথায় আক্রমণে উঠে গোল তুলে নেন গ্ৰীক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিওস ডায়মান্তাকস। সমতায় ফেরে ইস্টবেঙ্গল।

ম্যাচের একেবারে শেষ লগ্নে গোলের সুবর্ণ সুযোগ আসলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি দিমিত্রিওস। নাহলে অনায়াসেই তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করতে পারত ইস্টবেঙ্গল। তবে টানা আটটি ম্যাচ পরাজিত হওয়ার পর ফের খাতা খুলল ইস্টবেঙ্গল। যা কিছুটা হলেও খুশি করবে সমর্থকদের।