Delhi Flood: যমুনার জলে ডুবছে মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালের বাড়ি

ডুবে যাচ্ছে দিল্লির বড় একটা অংশ। দিল্লি সরকারের সচিবালয়ের ভিতর হুডহুড়িয়ে ঢুকছে যমুনার জল। এমনই অবস্থা যে জলমগ্ন দিল্লিতে পানীয় জলের সংকট তৈরি হচ্ছে। গত…

ডুবে যাচ্ছে দিল্লির বড় একটা অংশ। দিল্লি সরকারের সচিবালয়ের ভিতর হুডহুড়িয়ে ঢুকছে যমুনার জল। এমনই অবস্থা যে জলমগ্ন দিল্লিতে পানীয় জলের সংকট তৈরি হচ্ছে। গত চার দশকে এমন ভয়াবহ বন্যা আর হয়নি রাজধানীতে। জলস্তরে সর্বকালীন রেকর্ড।

দিল্লির রিং রোড এলাকায় জল থৈ থৈ পরিস্থিতি। ১৯৭৮ সালের পর এমন পরিস্থিতি হয়েছে রাজধানীতে। আটাত্তর সালে যমুনা জল দিল্লিকে ডুবিয়েছিল। সেই বছর ভয়াবহ বন্যায় পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় ছিল করুণ হাল। তবে বাংলার বন্যা ছিল মূলত দামোদর, অজয়, ময়ূরাক্ষীর। আর দিল্লিতে ছিল যমুনার বন্যা। ফলে ১৯৭৮ সাল এখনও বন্যার বছর বলে কু়খ্যাত। সেই বন্যার থেকেও এবছর দিল্লির অবস্থা করুণ।

অত্যন্ত খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি রাজধানী। এই মুহূর্তে যমুনা নদীর জলের স্তর ছুঁয়েছে রেকর্ড ২০৮.৪৮ মিটারে। সেন্ট্রাল্ল ওয়াটার কমিশন পরিস্থিতি কে ‘extreme situation’ বলে আক্ষ্যা দিয়েছে। আজ বিকেল ৩-৪ টে নাগাদ যমুনা জলের স্তর আরও বেড়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে। পরিস্থিতি রীতিমত ভয়াবহ।

দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন যে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে জলের স্তর কমানোর জন্য। কেজরিওয়াল সকলকে আগামী কয়েক দিন বাড়ি বসে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন। আগামী কয়েকদিন দিল্লিতে পানীয় জলের সঙ্কট হবে বলে প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। বন্যার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওয়াজিরাবাদ, চন্দ্রওয়াল এবং ওখলার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টগুলো।

মঠ বাজার, যমুনা বাজার, গড়ি মান্ডু, গীতা ঘাট, বিশ্বকর্মা কলোনি, খাড্ডা কলোনি, পুরাতন রেল ব্রিজের কাছে ছাতারী মন্দির, নিম করোলি গোশালা, ওয়াজিরাবাদ থেকে মজনু কা টিলা পর্যন্ত রিং রোডের একটি অংশ প্লাবিত রয়েছে।