দক্ষিণ মুম্বাইকে নবি মুম্বাইয়ের সঙ্গে জুড়েছে অটল সেতু। যা মুম্বাই ট্রান্স-হারবার লিঙ্ক নামেও পরিচিত। তিন মাস আগেই ১৭,৮৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ছয় লেনের সেতুটির উদ্বোধন করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সময় এগোতেই সেই অটল সেতুতে ফাটল ধরা পড়ল! শুক্রবার সকালে আলোকচিত্রীদের সঙ্গে নিয়ে অটল সেতু পরিদর্শন করেন মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস প্রধান নানা পাটোলে। তাঁর হাতে ছিল একটি লাঠি। যা দিয়ে সেতুর ফাটলের গভীরতা দেখান তিনি। পাটোলের অভিয়োগ, বিজেপি সরকারের তত্ত্বাবধানে এই সেতু নির্মাণে দুর্নীতি হয়েছে।
অটল সেতু ভারতের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু। মোট ২১.৮ কিমি দীর্ঘের এই সেতুর ১৬.৫ কিমি-ই সমুদ্রের উপর তৈরি। এ হেন সেতুতেই কোথাও প্রায় ১ ফুট, কোথাও তার বেশি ফাটল লাঠি প্রবেশ করিয়ে দেখিয়েছেন মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস সভাপতি।
নানা পাটোলের দাবি, ‘উদ্বোধনের তিন মাসের মধ্যে নবি মুম্বাই লাগোয়া অটল সেতুর রাস্তায় ফাটল ধরতে শুরু করেছে। ১৮ হাজার কোটি টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছে এই সেতু। বোঝা যাচ্ছে ওই সেতু বা তার লাগোয়া রাস্তার কাঠামো কতটা খারাপ।’
এই সেতুর হাল বেহাল হওয়ায় মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
Kamakhya Temple: মেঘ গর্জনে ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র, কামাখ্যায় জনপ্লাবন
তবে রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতির দাবি উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপির শাসিত মুম্বাই মেট্রোপলিটন রিজিওন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এমএমআরডিএ)। অটল সেতু প্রকল্পের নোডাল এজেন্সি এই সংস্থা। এমএমআরডিএ-এর দাবি, ফাটলগুলি অটল সেতুতে নয় বরং নবি মুম্বাইয়ের উলওয়ে থেকে অ্যাপ্রোচ রোডে ছিল।
এমএমআরডিএ-এর তরফে জানানো হয়েচে যে, ‘অটল সেতুতে ফাটল নিয়ে গুজব ছড়ানো হয়েছে। আমরা স্পষ্ট করতে চাই যে, এই ফাটলগুলি ওই সেতুত নয় বরং উলওয়ে থেকে মুম্বাইয়ের দিকে এমটিএইচএল সংযোগকারী অ্যাপ্রোচ রোডে রয়েছে।’
কংগ্রেসের সমালোচনার জবাব দিয়েছে বিজেপি। মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস দৃঢ়তার সঙ্গে দাবি করেছেন যে, অটল সেতুতে কোনও বিপদ নেই। কংগ্রেসের অভিযোগ নিয়ে তাঁর পাল্টা কটাক্ষ, ‘মিথ্যার সাহায্যে ফাটল তৈরির দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা।’
উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘অটল সেতুতে কোনও ফাটল নেই। অটল সেতুর কোনও বিপদ নেই। এই ছবিটি অ্যাপ্রোচ রোডের। তবে একটা জিনিস স্পষ্ট যে কংগ্রেস পার্টি মিথ্যার সাহায্যে ফাটল তৈরি করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করেছে। নির্বাচনের সময় সাংবিধানিক সংশোধনের কথা, নির্বাচনের পরে ফোনের মাধ্যমে ইভিএম খুলে দেওয়া এবং এখন এই ধরণের পরিকল্পনা। কংগ্রেসের দুর্নীতিবাজ আচরণকে কেবল দেশের মানুষই পরাজিত করবে।’