CPIM: আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান, রাম মন্দির অনুষ্ঠানে যাবে না সিপিআইএম: সীতারাম

রাম মন্দিরের উদ্বোধনে এবার আমন্ত্রণ জানানো হল সিপিআইএমের (CPIM) শীর্ষ নেতৃত্বকেও। আমন্ত্রণপত্র পেলেন দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। সীতারাম ইয়েচুরির বলেন, ‘ নৃপেন্দ্র মিশ্র এবং…

রাম মন্দিরের উদ্বোধনে এবার আমন্ত্রণ জানানো হল সিপিআইএমের (CPIM) শীর্ষ নেতৃত্বকেও। আমন্ত্রণপত্র পেলেন দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। সীতারাম ইয়েচুরির বলেন, ‘ নৃপেন্দ্র মিশ্র এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক নেতা আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তারা আমার হাতে আমন্ত্রণপত্র তুলে দেন। ধর্মে বিশ্বাস যার যার ব্যক্তিগত বিষয়। আমরা তা সম্মান করি। প্রত্যেক ধর্মের মানুষের নিজেদের ইচ্ছেমতো ধর্মীয় আচরণ পালন করার অধিকার রয়েছে দেশে। তবে সংবিধান অনুযায়ী এ দেশ কোনও নির্দিষ্ট ধর্মকে চিহ্নিত করে না। রিলিজিয়াস স্টেটের মর্যাদা পায় না ভারত। কিন্তু, এ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে রাম মন্দিরের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হচ্ছে। জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে সোজাসাপটা রাজনীতি করা হচ্ছে। যা ভারতের সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।’

সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য, ‘এই ধরণের একটি অনুষ্ঠানে আমার উপস্থিত থাকা সম্ভব নয়।’ সিপিআইএমের-এর অপর পলিটব্যুরো সদস্য বৃন্দা কারাট বলেন, ‘অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন এবং প্রাণ প্রতিষ্ঠায় অংশ নেবে না সিপিআইএম। আমরা সকলের ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি সম্মান করি। কিন্তু, ধর্মকে রাজনীতির সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা সঠিক নয়।’

সীতারাম ইয়েচুরির বক্তব্য নিয়ে মুখ খুলেছে বিজেপিও। মীনাক্ষী লেখির কথায়, ‘ সকলের কাছেই আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে। তবে যাদের ভগবান রাম ডেকেছেন, কেবলমাত্র তারাই অযোধ্যা পর্যন্ত পৌঁছতে পারবেন।’

রাম মন্দিরের বিরোধিতা করেছে সিপিআইএম। বিজেপি সম্পর্কে জ্যোতি বসু বলেছিলেন, ‘অসভ্য বর্বরের দল’। করোনার সময় রাম মন্দিরের ভূমিপুজো নিয়েও সমালোচনায় মুখর ছিল বামেরা। CPIM-এর বক্তব্য ছিল, ‘যে রামের কথা বলা হচ্ছে তার সঙ্গে ভারতের সংস্কৃতির কোনও সামঞ্জস্য নেই। এই রাম সংঘের রাম।’ পাশাপাশি বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনাকেও তীব্র নিন্দা জানান বামেরা। প্রতি বছর ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনটিতে প্রতিবাদ মিছিল বের করে বামেরা।

কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বকেও রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, সোনিয়া গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং অধীর রঞ্জন চৌধুরী। আমন্ত্রণের তালিকায় নেই রাহুল গান্ধী।