Constitution Day: পরিবারতন্ত্র গোটা দেশের পক্ষেই উদ্বেগজনক, সংবিধান দিবসে দাবি মোদীর

News Desk: সংবিধান দিবসের (constitution day) গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার কথা আলোচনা করতে এদিন সংসদের সেন্ট্রাল হলের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সংবিধানের গুরুত্ব নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা…

constitution day

News Desk: সংবিধান দিবসের (constitution day) গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার কথা আলোচনা করতে এদিন সংসদের সেন্ট্রাল হলের অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ সংবিধানের গুরুত্ব নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন। ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

যদিও ১৪টি বিরোধী দল এই অনুষ্ঠান বয়কট করেছে। সরকারপক্ষের সাংসদদের সামনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর ভাষণে যথারীতি কংগ্রেসকে খোঁচা দেন। তিনি বলেন, একটা সময় একটি পরিবার গোটা দেশকে চালিয়েছে। ওই পরিবারটি নিজেদের উন্নয়নের কথা ছাড়া আর কারও কথা ভাবেনি। গোটা দেশের দিকে তাকালে আমরা দেখতে পাব, পরিবারতন্ত্র গণতন্ত্রের পরিপন্থী।

তিনি বলেন, ভারতের মতো এক বৈচিত্র্যপূর্ণ দেশে আমাদের সকলকে এক সুতোয় বেঁধে রেখেছে সংবিধান। আজ সংসদ ভবনকে সেলাম করার দিন। পরিবারতান্ত্রিক দল ও সেই দলের নেতারা আজও গোটা দেশের কাছে যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়।

একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এদিন বিরোধীদের বয়কট প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন এই অনুষ্ঠান কোনও রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিগতভাবে আমি আয়োজন করিনি। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সংসদ। সংবিধান, সংসদ, অধ্যক্ষের একটা বিশেষ সম্মান আছে। প্রত্যেকের উচিত সেই বিষয়টিকে সম্মান দেওয়া।

১৪ টি বিরোধী দল আজকের অনুষ্ঠান বয়কট করে। যার মধ্যে কংগ্রেস ছাড়াও রয়েছে শিবসেনা ও তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিআইএম, সিপিআই সহ বিভিন্ন দল। বিরোধী দলগুলির এই আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সূত্রের খবর, ২৯ নভেম্বর সোমবার থেকে শুরু হতে যাওয়া সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের একজোট হয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিরোধীরা এদিনের অনুষ্ঠান বয়কট প্রসঙ্গে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার সংবিধানকে সম্মান দেয় না। সংবিধান মেনে দেশ পরিচালনা করে না। তাই এই অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কোনও অর্থ হয় না।

লোকসভায় কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, আমরা এই অনুষ্ঠানে যোগ দেব না। কারণ মোদী সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। এই সরকার দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। এই সরকারের সামান্য সৌজন্যবোধ নেই। সে কারণে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি, বিরোধী জোট অক্ষুন্ন রাখতেই তারা এই অনুষ্ঠান বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর নরেন্দ্র মোদী সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে ২৬ নভেম্বর দিনটি সংবিধান দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।