হিজাব না পরার কারণে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ হয়, দাবি কংগ্রেস বিধায়কের

চলতি হিজাব বিতর্কে আরও এক নতুন মাত্রা যোগ করলেন কর্নাটকের কংগ্রেস বিধায়ক জমির আহমেদ। সোমবার এই কংগ্রেস বিধায়ক বলেন, মহিলারা হিজাব পরেন না বলেই ভারতে সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ হয়। বিধায়ক আরও বলেছেন, হিজাব কখনই বাধ্যতামূলক নয়। তবে যারা নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে চান, নিজের সৌন্দর্যকে সকলের সামনে তুলে ধরতে চান না তাঁরাই হিজাব পরেন। হিজাব পড়ার ব্যাপারটা নতুন কোনও বিষয় নয়, বহু পুরনো রীতি।

Advertisements

ইসলাম ধর্মে হিজাব হল এক ধরনের পর্দা। মেয়েদের উচিত এই চিরাচরিত রীতি মেনে চলা। একটা বয়সের পর মেয়েদের উচিত নিজেদের সৌন্দর্য লুকিয়ে রাখতে হিজাব ব্যবহার করা। কিন্তু আজকালকার আধুনিক মেয়েরা সেই প্রচলিত রীতিকে অস্বীকার করেন। হিজাব পরার বদলে তাঁরা খোলামেলা পোশাক পড়েন। এজন্যই গোটা বিশ্বের মধ্যে ভারতেই সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ হয় যথারীতি বিধায়কের এই বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন মহল থেকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

   

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন লিখেছেন, এটাই কংগ্রেসের আসল পরিচয়। তারা ভারতীয় মেয়েদের কিভাবে দেখতে চায় সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ওই কংগ্রেস বিধায়ক। কংগ্রেস বিধায়ক জমিরকে নেটিজেনরা সকলেই তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন। অনেকেই বলেছেন, জমির তাঁর মন্তব্যের মাধ্যমে মেয়েদের অসম্মান করেছেন। বিধায়কের উচিত, অবিলম্বে এ ধরনের মধ্যযুগীয় মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসা। বিধায়কের বোঝা উচিত, হিজাবের মধ্য দিয়ে তাঁরা মেয়েদেরকে অন্ধকার জগতে আটকে রাখতে চাইছেন।

Advertisements

উল্লেখ্য কর্নাটকের এক কলেজে হিজাব বিতর্কের রেশ গোটা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে। পক্ষে-বিপক্ষে অনেকেই মুখ খুলেছেন। নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই যেমন হিজাব বিতর্কে মেয়েদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তেমনই প্রখ্যাত লেখিকা তসলিমা হিজাবকে মধ্যযুগীয় বেড়াজাল বলে উল্লেখ করে অবিলম্বে এই প্রথার অবসান চেয়েছেন।